রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ জুলাই, ২০২২ ৬:৩২ : অপরাহ্ণ
প্রতিটি মানুষের জীবনযাপনের বৈশিষ্ট্য বা ধরণ ভিন্ন এবং স্বতন্ত্র। অর্থনৈতিক ভিত্তি, অর্থ আগমনের পথও আলাদা। এটা সাধারণ লোকদের ক্ষেত্রেও যেমন, রাজনীতিবিদদের বেলাও একই রূপ।
জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা এবং তাদের পারিবারিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে সাধারণ মানুষের।
তেমনি একজন রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি মনোনীত সংরক্ষিত মহিলা আসনের এই সংসদ সদস্য নানা সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় থাকেন।
তবে বেশ কিছুদিন ধরে তার ব্যক্তিগত একটি বিষয় অর্থাৎ বৈবাহিক জীবন এবং তার প্রেম নিয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে তিনি জানান, বিয়ে করার সময় পাননি।
দুটি কারণ উল্লেখ করেন রুমিন ফারহানা। প্রথমত নিজের পারিবারিক কারণ। দ্বিতীয়ত, পেশাগত ব্যস্ততা।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘পারিবারিক একটি বড় দায়িত্ব ছিল তার উপর। বাবা-মাকে তিনি একাই দেখাশোনা করেন। সংসারটা তার একা টানতে হয়। অর্থাৎ গত ১০ বছরে তিনি অনেক ব্যস্ত। সত্যি কথা একারণে সময় পাননি বলে জানান এই সংসদ সদস্য।’
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সময় তো এখনও পেরিয়ে যায়নি…
বিএনপির এই নেত্রীর উত্তর ছিল, ‘বিয়ের সময় বহু আগেই পেরিয়ে গেছে। এটা যদি ওয়েস্টার্ন কালচারের চিন্তা করে বলেন, লাইফ ক্যান বি বিগান এ্যাট এনি টাইম। সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমাদের এই সংস্কৃতিতে মনে হয় না সময় আছে। আমি আসলে ওটা নিয়ে ভাবছিও না।’
একাকিত্ব কেমন লাগে জানতে চাইলে রুমিন ফারহানার সহজ সরল উত্তর, ‘সময় কোথায় একাকিত্ব পাওয়ার। একাকিত্ব তো পায়ই না। পুরো বাসার দায়িত্ব পালন, পার্টির কাজ, গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলা। লেখালেখি করার পর হাতে সময় থাকে না। সময়ের খুব টানাটানি।’
ব্যস্ততার মাঝে কারও কাছে সময় চান কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমার তো দেওয়ার মতো সময় থাকতে হবে। তাছাড়া কাজ না থাকলে নেটফ্লিক্স আছে, মা আছে, বন্ধু-বান্ধব আছে। সময় কেটে যায়।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নিজের সম্পর্কে নতুন অনেক তথ্য পাই, যা নিজেও জানি না।’ তিনি বলেন, ‘আমার প্রায়োরিটি লিস্টে বিয়ে ছিল না। যে পরিবারে বেড়ে উঠেছি সেখানে বিয়েটা মুখ্য বিষয় ছিল না। পরিবার থেকেও কোনো চাপ ছিল না। এছাড়া বিয়েটা আমার লাইফে মূখ্য করে তুলতে পারে এমন কেউ আমার জীবনে আসেনি।’
রুমিন ফারহানার বাবা রাজনীতিক অলি আহাদ ৫২ বছরে বয়সে বিয়ে করেছেন। রাজনীতিতে ব্যস্ততার কারণেই তার বিয়েতে দেরি হয়।
টেলিভিশনের উপস্থাপক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘লোকে বলে আপনার সঙ্গে একজনের প্রেম আছে।’
জবাবে রুমিন হেসে বলেন, ‘কার সঙ্গে আছে?’
উপস্থাপক বলেন, ‘সেই লোক পাকিস্তানি নাগরিক।’
জবাবে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমি সত্যিই তাকে খুঁজছি।’
জানতে চাওয়া হয়, এসব কথা কি সত্যিই গুজব?
রুমিন ফারহানার জবাব, ‘পুরোটাই গুজব।’
প্রেমের প্রস্তাব আসে কিনা জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এখন অনেক এসএমএস পাই। তাতে লেখা থাকে, আমি অমুক এলাকার অমুক বলছি। আমি আপনার বিরাট ভক্ত। আমাদের এই সমস্যা সংসদে তুলে ধরবেন। আমার জীবনটা অনেক পালেট গেছে। সময় এবং বয়সও পাল্টে গেছে। যেই চিঠির আশা নিয়ে এত প্রশ্ন করছেন-সেই চিঠির পাওয়ার বয়স এবং সময় কোনোটাই আমার নেই।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘কবিরা কবিতা লেখেন, পাঠান। ওই কবিতা পড়া পর্যন্ত। পড়ে আনন্দ নেওয়া পর্যন্তই। কারও কবিতা যখন বেশি ভালো লাগে। তাকে লিখি লেখা চালিয়ে যাবেন, ছাড়বেন না। আর না হলে চুপ থাকি। কবিতা ভালো না লাগলে উত্তর দিই না।’
সম্ভব নয় বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘মিরাক্কেল তো হয়। মিরাক্কেল হলে দেখবেন।’