রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ জুলাই, ২০২২ ৪:২৭ : অপরাহ্ণ
সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে ১১ টন অস্ত্র আনার পথে ইউক্রেনীয় একটি কার্গো বিমান উত্তর-পূর্ব গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের কাভালা শহরে বিধ্বস্ত ওই কার্গো বিমানের ৮ ক্রুর সবাই মারা গেছেন।
আন্তোনভ-১২ মডেলের বিমানটিতে যেসব অস্ত্র ও গোলা-বারুদ ছিল তার মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড মাইনও।
সার্বিয়া থেকে কার্গো বিমানটি সমরাস্ত্র নিয়ে জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারত হয়ে বিমানটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সের।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ জানান, আন্তনভ এএন-১২ বিমানটি সার্বিয়ার তৈরি ১১ টন অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ বিমানের আট আরোহীর সবাই মারা গেছেন। বিমানের ক্রুদের প্রত্যেকেই ইউক্রেনের। কেউই সার্বিয়ার নন।
এএফপি বলছে, ইউক্রেনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের ওই বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় পাইলট এটিকে কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর রানওয়েতে যেতে পারেননি তিনি।
নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে শুনে বাইরে এসে দেখি বিমানটি আগুনে পুড়ছে। পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, স্থানটি নিরাপদ মনে না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবে না দেশটির সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল এবং পরমাণু শক্তি কমিশন। তবে স্থান পরিদর্শনে ড্রোন পাঠানো হয়েছে।
গ্রিসের থেসালোনিকিতে ইউক্রেনের দূত ভাদিম সাবলুক দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নিহতদের পরিচয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিমানটি বাংলাদেশে যাচ্ছিল।