মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা খেলা

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০২২ ৫:৩৮ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশ করা বাংলাদেশ ওয়ানডেতে দেখা দিলো ভিন্ন রূপে! দলের পছন্দের সংস্করণ পেয়ে বল হাতে জ্বলে ওঠা শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা লক্ষ্য রাখলেন একেবারে নাগালে। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে বেগ পেতে হয়নি ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত অনায়াসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেলো টাইগাররা।

রোববার রাতে ডমিনিকার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচ কমে আসে ৪১ ওভারে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুরো ওভার খেলে করতে পারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। জবাবে সফরকারীরা ৫৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ১৫১ রান তুলে জয়ের বন্দরে নোঙর করে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারই পারেননি বাংলাদেশের জয়ে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে। শুরুতেই লিটন ফিরলেও পথ হারায়নি বাংলাদেশ।

দেড় বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক তামিম। কিছুটা আক্রমণাত্মক থাকা অধিনায়ক তামিম যেন নিজের স্ট্রাইক রেট ১০০ এর উপর রাখতেই মরিয়া ছিলেন। তাতেই দুজনের জুটিতে ৩০ বলে আসে ৪০ রান। দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তামিম।

৪৯ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলে ৪৯ রান। শান্ত ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। শান্তর পর খুব বেশি সময় ক্রিজে থাকেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। তিনি ফেরেন ১৭ বলে ৯ রান করে।

এরপর মাহমুদউল্লাহ-শান্তর জুটিতে ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু দুজনের জুটি পঞ্চাশের ঘরে পা দেয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন শান্ত। পুরানের ক্যাচ বানিয়ে শান্তকে (৩৭) ফেরান মোতি। এরপর আফিফ এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জয় থেকে ৩৯ রান দূরে পুরানের বলে আউট হন আফিফ (৯)।

আফিফ ফেরার পর বাকি কাজ সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও সোহান। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে নিশ্চিত করেন দলের জয়। মাহমুদউল্লাহ ৬৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। আর সোহান অপরাজিত ২৭ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২০ রানে।

এর আগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এই ক্যারিবীয় ব্যাটার তখন রানের খাতা খুলতে পারেননি।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশ করা বাংলাদেশ ওয়ানডেতে দেখা দিলো ভিন্ন রূপে! দলের পছন্দের সংস্করণ পেয়ে বল হাতে জ্বলে ওঠা শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা লক্ষ্য রাখলেন একেবারে নাগালে। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে বেগ পেতে হয়নি ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত অনায়াসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেলো টাইগাররা। রোববার রাতে ডমিনিকার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচ কমে আসে ৪১ ওভারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুরো ওভার খেলে করতে পারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। জবাবে সফরকারীরা ৫৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ১৫১ রান তুলে জয়ের বন্দরে নোঙর করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারই পারেননি বাংলাদেশের জয়ে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে। শুরুতেই লিটন ফিরলেও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। দেড় বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক তামিম। কিছুটা আক্রমণাত্মক থাকা অধিনায়ক তামিম যেন নিজের স্ট্রাইক রেট ১০০ এর উপর রাখতেই মরিয়া ছিলেন। তাতেই দুজনের জুটিতে ৩০ বলে আসে ৪০ রান। দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তামিম। ৪৯ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলে ৪৯ রান। শান্ত ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। শান্তর পর খুব বেশি সময় ক্রিজে থাকেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। তিনি ফেরেন ১৭ বলে ৯ রান করে। এরপর মাহমুদউল্লাহ-শান্তর জুটিতে ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু দুজনের জুটি পঞ্চাশের ঘরে পা দেয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন শান্ত। পুরানের ক্যাচ বানিয়ে শান্তকে (৩৭) ফেরান মোতি। এরপর আফিফ এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জয় থেকে ৩৯ রান দূরে পুরানের বলে আউট হন আফিফ (৯)। আফিফ ফেরার পর বাকি কাজ সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও সোহান। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে নিশ্চিত করেন দলের জয়। মাহমুদউল্লাহ ৬৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। আর সোহান অপরাজিত ২৭ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২০ রানে। এর আগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এই ক্যারিবীয় ব্যাটার তখন রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরে দলীয় ৩২ রানের মাথায় স্পিনার মেহেদী হাসান সাজ ঘরে ফেরান আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্সকে। ২৭ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাই দলীয় পঞ্চাশ রান পার হতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। শামার ব্রুকস ব্যক্তিগত ৩৩ এবং ব্র্যান্ডন কিং ৮ রান করে এই বাংলাদেশি পেসারের শিকার হন। পরে আরও দুই উইকেট তুলে নেন তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান। রোভম্যান পাওয়েল (৯) ও নিকোলাস পুরানের (১৮) উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধস নামান। কিছুক্ষণ পর শরিফুল আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনংসকে অল্প রানে আটকে দিতে মূল অবদান রাখেন। রোমারিও শেফার্ড (১৫) ও গুদাকেশ মতিকে (৭) আউট করে ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আর শরিফুল পান চার উইকেট ৩৪ রান খরচায়। মুস্তাফিজ পান এক উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরার ‍পুরস্কার জিতেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সংক্ষিপ্ত স্কোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪১ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ০, মেয়ার্স ১০, ব্রুকস ৩৩, কিং ৮, পুরান ১৮, পাওয়েল ৯, শেফার্ড ১৫, আকিল ৩, মোটি ৭, ফিলিপ ১৯*, সিলস ১৬*; নাসুম ৮-৩-১৬-০, মুস্তাফিজ ৮-০-৩৪-১, মিরাজ ৯-২-৩৬-৩, তাসকিন ৮-০-২৬-০, শরিফুল ৮-১-৩৪-৪)। বাংলাদেশ: ৩১.৫ ওভারে ১৫১/৪ (তামিম ৩৩, লিটন ১, শান্ত ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ৪১*, আফিফ ৯, সোহান ২০*; আকিল ৮-০-৪৩-১, সিলস ৩.৫-০-২৬-০, ফিলিপ ২-০-১৫-০, শেফার্ড ২-০-১০-০, মোটি ৯-১-১৮-১, পুরান ৭-০-৩৯-১)। ফল: বাংলাদেশ ছয় উইকেটে জয়ী।

পরে দলীয় ৩২ রানের মাথায় স্পিনার মেহেদী হাসান সাজ ঘরে ফেরান আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্সকে। ২৭ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাই দলীয় পঞ্চাশ রান পার হতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। শামার ব্রুকস ব্যক্তিগত ৩৩ এবং ব্র্যান্ডন কিং ৮ রান করে এই বাংলাদেশি পেসারের শিকার হন।

পরে আরও দুই উইকেট তুলে নেন তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান। রোভম্যান পাওয়েল (৯) ও নিকোলাস পুরানের (১৮) উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধস নামান।

কিছুক্ষণ পর শরিফুল আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসকে অল্প রানে আটকে দিতে মূল অবদান রাখেন। রোমারিও শেফার্ড (১৫) ও গুদাকেশ মতিকে (৭) আউট করে ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আর শরিফুল পান চার উইকেট ৩৪ রান খরচায়। মুস্তাফিজ পান এক উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪১ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ০, মেয়ার্স ১০, ব্রুকস ৩৩, কিং ৮, পুরান ১৮, পাওয়েল ৯, শেফার্ড ১৫, আকিল ৩, মোটি ৭, ফিলিপ ১৯*, সিলস ১৬*; নাসুম ৮-৩-১৬-০, মুস্তাফিজ ৮-০-৩৪-১, মিরাজ ৯-২-৩৬-৩, তাসকিন ৮-০-২৬-০, শরিফুল ৮-১-৩৪-৪)।

বাংলাদেশ: ৩১.৫ ওভারে ১৫১/৪ (তামিম ৩৩, লিটন ১, শান্ত ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ৪১*, আফিফ ৯, সোহান ২০*; আকিল ৮-০-৪৩-১, সিলস ৩.৫-০-২৬-০, ফিলিপ ২-০-১৫-০, শেফার্ড ২-০-১০-০, মোটি ৯-১-১৮-১, পুরান ৭-০-৩৯-১)।

ফল: বাংলাদেশ ছয় উইকেটে জয়ী।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর