সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

লাখো কণ্ঠে লাব্বাইক ধ্বনিতে প্রকম্পিত আরাফাত ময়দান


‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিদায় হজের স্মৃতি বিজড়িত আরাফাতের ময়দান।

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জুলাই, ২০২২ ১১:০১ : পূর্বাহ্ণ

আজ পবিত্র আরাফাত দিবস। পবিত্র হজ। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্বের ১০ লাখ হজযাত্রী সমবেত হয়েছেন ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে।

সেখানে লাখ লাখ হাজির কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ (অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে সমবেত হওয়া মুসল্লিরা গতকাল মিনায় নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করেছেন। সেখানে ফজরের নামাজ পড়ে আজ সূর্যোদয়ের আগেই হাজিরা ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে হাজির হন। সেখানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ।

আজ ফজরের নামাজের পর মিনা থেকে আরাফার ময়দানে যাওয়ার কথা থাকলেও রাস্তার ভিড় এড়াতে অনেক হজ এজেন্সি গতকাল এশার নামাজের পর থেকেই হজযাত্রীদের আরাফার ময়দানে পৌঁছে দেওয়া শুরু করে।

মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফা। এর তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। জাবাল মানে পাহাড়।

লাখো কণ্ঠে লাব্বাইক ধ্বনিতে প্রকম্পিত আরাফাত ময়দান

জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। এই পাহাড়ে হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর দেখা হয়েছিল। আর হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাবালে রহমত পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন।

আরাফার ময়দানে আর হজের খুতবার পর জুমা ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে। এ বছর খুতবা দিবেন শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল কারিম আল ঈসা।

খুতবা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আর সৌদি সরকারের উদ্যোগে আরাফার খুতবার অনুবাদ বাংলাসহ ১৪ ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন হাজিরা।

হাজিরা আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর (৭০টি) সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।

মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা মিনায় ফিরবেন।

মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।

কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর