নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২ জুলাই, ২০২২ ৭:৩১ : অপরাহ্ণ
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘দীর্ঘ ছয় মাস আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ আমার খোঁজ নেয়নি। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। অথচ যাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।’
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন না।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘পল্লীবন্ধু এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তাই আজ জাতীয় পার্টি এলোমেলো হয়ে গেছে। যাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। যারা চলে গেছেন তাদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাবো।’
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো নেতা দলের বাইরে আছেন, তাদের দলে আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। কাজী জাফর, শাহ্ মোয়াজ্জেম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অনেক সিনিয়র নেতা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেনন, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমকক্ষ বানাতে হবে। নতুবা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবো না।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘পার্টিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনে যা যা করার দরকার তাই করবো। এরশাদ সাহেব তিলে তিলে এ দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আমি আসার দিন এত মানুষ আমাকে যে অভ্যর্থনা জানিয়েছে তা দেখে আমার দু’চোখে জল এসে গেছে।’
জাতীয় পার্টিতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি, রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, হাবিবুল্লাহ বেলালী, জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, কাজী মামুনুর রশীদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নরুল ইসলাম নুরু, ইকবাল হোসেন রাজু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, আশরাফ সিদ্দিকী।