বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশের সময় :১ জুলাই, ২০২২ ৬:২৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের আসন্ন কমিটির সভাপতি পদে ৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ প্রার্থীকে ছাপিয়ে নানা সমীকরণে নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন পাঁচজন।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর গত ২৯ মে হাটহাজারীতে উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়নি। এখন কেন্দ্র থেকে যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হবে।
কমিটির শীর্ষ দুই পদে এগিয়ে থাকা পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে দুজন হলেন সভাপতি আর তিনজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
সভাপতি প্রার্থীরা হলেন-এস এম রাশেদুল আলম ও নুরুল মোস্তাফা মানিক।
রাশেদুল আলম জেলা যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি হাটহাজারীর উপজেলা চেয়ারম্যান।
নুরুল মোস্তফা মানিক জেলা যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি মিরসরাইয়ে।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা হলেন-মো. মিজানুর রহমান মিজান, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু ও মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।
মিজানুর রহমান জেলা যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সন্দ্বীপে।
আরজু শিকদার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। আর আবু তৈয়ব উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাদের দুজনের বাড়িই রাঙ্গুনিয়ায়।
সভাপতি পদে নতুন নাকি পুরাতন মুখ
জেলা-মহানগর যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ককে পুরাতন মুখ হিসেবে বিবেচনা করছে কেন্দ্র।
সে হিসাবে সভাপতি পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে এস এম রাশেদুল আলম হলেন পুরাতন আর নুরুল মোস্তফা মানিক হলেন নতুন মুখ।
সভাপতি প্রার্থী এস এম রাশেদুল আলম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও রাশেদের সখ্যতা রয়েছে।
জানতে চাইলে এস এম রাশেদুল আলম রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমার প্রতি সালাম ভাইয়ের সমর্থন আছে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ড. হাছান মাহমুদও আমাকে উৎসাহিত করেছেন। আমার নেতৃত্ব নিয়ে তারা সন্তুষ্ট না হলে আমাকে সাপোর্ট করতেন না। দীর্ঘ ১৯ বছর নেতৃত্বে থেকে আমি সংগঠনকে কোনো দিন ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করিনি। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবো। এমনকি রাজনীতিও ছেড়ে দেবো। সম্মেলনেও দ্ব্যর্থকণ্ঠে আমি এ কথা বলেছি।’
অপর সভাপতি প্রার্থী নুরুল মোস্তফা মানিক সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। সে হিসাবে নিজ এলাকার প্রার্থী মানিককে সমর্থন দিয়েছেন মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য।
২০১৩ সালে জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের যে প্রক্রিয়া হয়েছিল তাতে মানিককে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
জানতে চাইলে নুরুল মোস্তফা মানিক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘২০১৩ সালে যখন জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল, তখন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদে চেয়েছিলেন। তখন মামুন-রাশেদ তড়িঘড়ি করে ঢাকায় গিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে কমিটির ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব নিয়ে আসেন। এখন সভাপতি পদে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি নুরুল মোস্তফা মানিক ছাড়াও আরও দু-তিনজন প্রার্থীর নাম যুবলীগের কেন্দ্রে সুপারিশ করবেন। তবে মানিক থাকবেন তালিকার এক নম্বরে।
কিন্তু সভাপতি পদে নতুন নাকি পুরাতন মুখ আসবে তা নিয়ে জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারে চমক
সাধারণ সম্পাদক পদে চমক আসতে পারে বলে মনে করছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ পদে ২২ প্রার্থীর মধ্যে নানা সমীকরণে এগিয়ে আছেন সন্দ্বীপ ও রাঙ্গুনিয়ার তিন প্রার্থী।
তিন প্রার্থীর মধ্যে সন্দ্বীপের মাইটভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের পাশে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো শীর্ষ নেতা নেই। বরং সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিজানের তীব্র বিরোধ চলে আসছে।
মন্ত্রী-এমপি কিংবা প্রভাবশালী কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থন ছাড়া কার ওপর ভরসা করে নেতৃত্বের লড়াইয়ে নেমেছেন মিজান?
দলীয় সূত্রের খবর, গত ১৯ বছর ধরে উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মিজান সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। যুবলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন। জেলা যুবলীগের সম্মেলনেও তার অনেক ভূমিকা ছিল। সাতটি উপজেলায় তার কর্মী বাহিনী রয়েছে। এসব সাংগঠনিক ক্যারিশমার জন্য তার প্রতি যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিশেষ নজর রয়েছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সন্দ্বীপ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন মিজান।
জানতে চাইলে মিজানুর রহমান মিজান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমার পাশে কোনো মন্ত্রী-এমপি কিংবা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা নেই বটে, তবে সাতটি উপজেলার যুবলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আছেন। উত্তর জেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। প্রতিটা কর্মসূচির সংগঠক ছিলাম আমি। জেলা যুবলীগের স্বতস্ফূর্ত সম্মেলন আয়োজনের পেছনে আমার ৮০ ভাগ অবদান ছিল। কাজেই যদি ত্যাগের মূল্যায়ন করা হয় তাহলে সবার আগে আমার নাম আসবে।’
পদ পাওয়ার ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির রক্তের উত্তরাধিকার এখন সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন। তারা সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। কারণ যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখবেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির ওপর নয়।’’
অপর দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে আরজু শিকদার হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদের অনুসারী। তিনি আরজু শিকদারকে সমর্থন দিয়েছেন।
কিন্তু আরজু শিকদারের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন একই উপজেলার প্রার্থী আবু তৈয়ব। তবে আবু তৈয়বকে সমর্থন দেননি মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদের সুপারিশে আবু তৈয়ব উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু পরে মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আবু তৈয়বের সখ্যতা গড়ে উঠে।
জেলা যুবলীগের সম্মেলনে আবু তৈয়বের নাম প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী কাউন্সিলর দুজন মিরসরাইয়ের বাসিন্দা। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরজু শিকদার।
শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় তৈয়বের কোনো অস্তিত্বই নেই। যদি অস্তিত্ব থাকতো তাহলে ওর প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারীর বাড়ি মিরসরাই কেনো? রাঙ্গুনিয়ার ছেলে কেন দিতে পারেনি? সে ওয়ার্ডের রাজনীতি করতো। তাকে রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছি আমি। ড. হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশমন্ত্রী থাকাকালে এলাকার ছেলে হিসেবে তৈয়বকে ওয়ার্ড থেকে নিয়ে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি বানান। না হয় তৈয়ব জীবনেও জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হতে পারতো না।’
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যুবলীগের যারা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে আমি সবার ওপরে। কারণ দলের দুঃসময়ে আমার অনেক অবদান আছে। ১৯৮৫ সালের পর রাঙ্গুনিয়ায় ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে যারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে চোখ রাঙিয়ে কথা বলতো তাদের মধ্যে আমি একজন। তখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সবাই ভয় করতো, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সেই দুঃসময়ে উপজেলা যুবলীগের দায়িত্ব নিয়ে ১৬টি ইউনিয়নে আমি সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছি।’
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, আবু তৈয়বকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সমর্থন না করলেও মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তার নাম সুপারিশ করবেন।
কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ছাড়াও তৈয়বের খুঁটির জোর আছে যুবলীগের কেন্দ্রে। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
জানতে চাইলে আবু তৈয়ব রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি যখন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম তখন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তাই উনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠে। শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নাঈম যুবলীগের নেতৃত্বে আসার পর আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলি। তাই তাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠে। পদ-পদবী ব্যবহার করে আমি কোনো দিন ধান্দাবাজি করিনি। ব্যক্তিগত লোভ এবং রাজনৈতিক পাপ আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যে কারণে সবাই আমাকে পছন্দ করেন।’
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রার্থী না, জেলার প্রার্থী। কাজেই উত্তর জেলার যে কোনো স্থান থেকে আমার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হতে পারে। আর আমি যখন পদুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, তখন আরজু শিকদার বিদেশ ছিলেন। তিনি কীভাবে বিদেশ থেকে আমাকে সভাপতি বানালেন? তখন কি তিনি বিদেশ থেকে রাঙ্গুনিয়ায় ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতেন?’
কোন সমীকরণে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে?
যুবলীগের একজন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনীতি সংবাদকে জানান, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি পদে পুরাতন মুখ আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। প্রথমে দক্ষিণ জেলার নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। যদি দক্ষিণ জেলার সভাপতি পদে পুরাতন মুখ আসে তাহলে উত্তর জেলা ও মহানগরেও একই পদে পুরাতন মুখ আসবে।
এই সমীকরণে উত্তর জেলায় সভাপতি পদে পুরনো মুখ হিসেবে এস এম রাশেদুল আলম এগিয়ে আছেন।
কিন্তু রাশেদুল আলমকে সভাপতি করা হলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের প্রার্থী নুরুল মোস্তফা মানিকের অবস্থান কোথায় হবে?
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীরও খুঁটির জোর আছে।
মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন না থাকলেও সংগঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকারের দিক থেকে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখছেন মিজানুর রহমান মিজান।
আরজু শিকদারের পাশে আছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও যুগ্ম সম্পাদক শেখ নাঈমের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে আবু তৈয়বের।
এই কঠিন সমীকরণে কে কাকে টেক্কা দিয়ে নেতৃত্বের আসনে বসতে পারেন তা দেখার অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সুপারিশ কি আমলে নেবেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ?
উত্তর জেলা যুবলীগের নেতারা মনে করছেন, যুবলীগের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা। তাই কমিটি নিয়ে মন্ত্রী-এমপি কিংবা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্লিন ইমেজ, সাংগঠনিক যোগ্যতা ও দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে তারা মনে করছেন।
উত্তর জেলা যুবলীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা নাম প্রকাশ করার শর্তে রাজনীতি সংবাদকে বলেন, মন্ত্রী-এমপি কিংবা আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বারা যুবলীগ যে প্রভাবিত হয় না সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ উত্তর জেলার সম্মেলনে তার একটা দৃষ্টান্ত দিয়েছেন।
কী সেই দৃষ্টান্ত?
ওই যুবলীগ নেতা বলেন, সম্মেলনে প্রধান অতিথি করার কথা ছিল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। কিন্তু যুবলীগের চেয়ারম্যান তা মেনে নেননি। শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে সম্মানিত অতিথি করা হয়। এর মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনায় যুবলীগের চেয়ারম্যান যে কতটা কঠোর তিনি সেটার বার্তা দিয়েছেন। এ থেকে বুঝা যায়, কমিটি নিয়ে চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি কিংবা আওয়ামী লীগ নেতারা যুবলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ: সভাপতি-সম্পাদক পদে আলোচনায় ৫ নাম