রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ জুন, ২০২২ ১০:৫১ : পূর্বাহ্ণ
পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।
এ সময় সেতুর দুই প্রান্তে বাস, ট্রাক, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। দীর্ঘ সারিতে কিছুটা ভোগান্তি হলেও অনেকে আবার পদ্মা পাড়ি দিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে যানবাহন পারাপারের জন্য পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা খুলে দেওয়া হয়। টোল প্লাজা খোলার পর প্রথম দিকে মোটরসাইকেলের চাপ ছিল বেশি। কিন্তু পরে বাস-মিনিবাস-প্রাইভেটকার ও ট্রাকের দীর্ঘ সারি হয়ে যায়। তবে, পদ্মা সেতু পার হওয়া ও দেখার জন্য উৎসুক জনতার সংখ্যাই বেশি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন বলেন, রাত ১০টা থেকে শত শত গাড়ি এসে ভিড়তে থাকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে। টোল প্লাজা দিয়ে ভোর ৬টায় গাড়ি ছাড়ার কথা ছিলো। গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় ২০ মিনিট আগেই ছাড়তে হয়েছে।
মাগুরা থেকে আসা দোলা পরিবহনের চালক আতিয়ার হোসেন বলেন, ‘রাত ৯টা থেকে অপেক্ষায় ছিলাম। কখন পদ্মা পারি দিবো। অবশেষে সেই অপেক্ষার পালা শেষ হলো। খুব ভোরেই টোল প্লাজার সামনে হাজির হলাম। টোলও দিয়েছি। আল্লাহর নামে চললাম। দীর্ঘ দিন ধরে ফেরিতে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তার সমাপ্ত হলো আজকে।’
এর আগে শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুতে টোলের হার ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। মিনি বাসে ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২১০০-২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা।
কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১৩০০ টাকা। মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে চাইলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা।
পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ পরিবহনের বাস ঢাকার সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাবে।