রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ জুন, ২০২২ ৫:৩৪ : অপরাহ্ণ
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাই ও মেশিনটির ভালো মন্দ নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ১৩ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপিসহ ৫ রাজনৈতিক দল তাতে অংশ নেয়নি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইভিএম যাচাইয়ের প্রথম সভায় ১৩ দলকে টেকনিক্যাল পারসনসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিলেও তাদের সঙ্গে কোনো টেকনিক্যাল পারসন ছিল না।
আজ দ্বিতীয় দফায় অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলো হলো- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
যে সব দলগুলো সংলাপে আসে নাই সেগুলো হলো-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)।
অনুষ্ঠানে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, আমরা নিবন্ধিত সবগুলো দলের ইভিএম নিয়ে মতামত জানবো, তারা কি চায়, আমরা তাদের ইভিএমের বিষয়ে সব কিছু জানাবো, দেখাবো। তবে আমরা আজ বিএনপিসহ ১৩টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কোনো দল না আসলে ইসির কি করার থাকতে পারে। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিলনা।
ইসির করা তালিকা অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুন তৃতীয় দফায় ক্ষমতাসীন দলসহ আরো ১৩টি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে ইভিএম যাচাইয়ের মতবিনিময় সভায় বসবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি তিন কমিশনার, ইসির সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবে।
২৮ জুন যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে
আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এ ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিন কিনতে হবে।