নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৮ জুন, ২০২২ ৮:০১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বহদ্দারহাটের জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বহদ্দারহাটে মেয়রের বাড়ির উঠানে ও মূল সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এমনকি মেয়রের ঘরেও পানি উঠেছে। পানিতে মেয়রের বাড়ি ও বাড়ির সামনে থাকা গাড়ির চাকার একাংশ ডুবে থাকতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বহদ্দারহাটের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হলে আমরা দুর্ভোগে পড়ি। রেজাউল করিম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ভেবেছিলাম, জলাবদ্ধতার সমাধান হবে। কিন্তু, সবকিছু আগের মতোই রয়ে গেলো।’
সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বহদ্দারহাট নিচু এলাকায় হওয়ায় আমাদের এলাকায় পানি উঠেছে। এমনকি আমার বাড়ির উঠানেও পানি চলে আসে। ঘরের ভেতরও এক হাঁটু পানি উঠেছিল। পানির মধ্য দিয়েই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএ একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য তারা খাল খনন ও রিটেইনিং দেওয়াল তৈরি করছে। এটি করতে তারা খালগুলোতে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করেছে এবং খালের একটি বড় অংশ ভরাট করেছে। আমি তাদের বলেছিলাম, বর্ষার আগে বাঁধগুলো সরিয়ে দিতে এবং খালগুলোকে অবমুক্ত করতে। যেন বর্ষায় বৃষ্টির পানি নেমে যেতে পারে। তারা কিছু বাঁধ অপসারণ করেছে, কিন্তু খালের ভরাট মাটি সরিয়ে নেয়নি। ফলে পানি দ্রুত সরে যেতে পারছে না এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।’
যে কোনো সময় ভারি বর্ষণ হলেই সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা, মানুষের দুর্ভোগ
শুক্রবার রাত ৯টার পরে ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, বাদুরতলা, দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ ও ষোলশহরসহ নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। নগরীর নিচু এলাকার অনেক বাসা-বাড়ির পার্কিং ও নিচতলায় বৃষ্টির পানি ঢুকে গিয়েছিল।
আজ শনিবার সকালেও এসব এলাকায় পানি ছিল। দুপুরের পর নামতে শুরু করে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আমবাগান আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭২ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। যদিও বন্দর নগরীতে অন্য সময় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন নিচু এলাকা ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রাতে পাহাড় ধসে ৪ জনের মৃত্যু