বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশের সময় :১৩ জুন, ২০২২ ৬:৪৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আসন্ন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন নতুন-পুরাতন পাঁচ নেতা। তাদেরকে নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। যুবলীগের নতুন কমিটি ঘিরে স্থানীয় তিন সংসদ সদস্যের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও চলছে।
গত ২৮ মে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হলেও কমিটি ঘোষণা ছাড়াই তা শেষ হয়। প্রার্থীরা এখন চেয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে।
নতুন কমিটির সভাপতি পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৯ জন প্রার্থী যুবলীগের কেন্দ্রে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী না থাকায় ৫ জন সভাপতি ও ১২ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঝরে যান।
এখন নেতৃত্বের লড়াইয়ে আছেন সভাপতি পদে ৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৭ জন।
দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাগজ-কলমে সভাপতি-সম্পাদক পদে ৩৫ জন প্রার্থী থাকলেও সব দিক বিবেচনায় আলোচনায় আছেন ৫ নেতা।
এর মধ্যে সভাপতি পদে চারজন আর সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন কেবল একজন।
সভাপতি পদে আলোচিত প্রার্থীরা হলেন-জেলা যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথি চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক নাছির উদ্দীন মিন্টু।
এদের মধ্যে টিপু সুলতান চৌধুরী ও মোহাম্মদ ফারুকের বাড়ি হলো পটিয়া উপজেলায়। তারা দুজনই ভূমিমন্ত্রী ও আনোয়ারা-কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম-১৩) আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের অনুসারী।
পার্থ সারথি চৌধুরী ও নাছির উদ্দীন মিন্টুর বাড়ি হলো সাতকানিয়া উপজেলায়। পার্থ সারথি চৌধুরী স্থানীয় কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে রাজনীতি করেন না।
নাছির উদ্দীন মিন্টু আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার অনুসারী।
সাধারণ সম্পাদক পদে একমাত্র আলোচিত প্রার্থী হলেন-বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। তিনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের অনুসারী।
কোন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের তিন জেলায় পরিচ্ছন্ন নেতাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া হবে। বিভিন্ন অপকর্মে ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত নেতারা কমিটিতে স্থান পাবে না।’
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন অপকর্মে ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা চাই না, তাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাক।’
টিপু সুলতান-ফারুককে নিয়ে তিন সংসদ সদস্যের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই
টিপু সুলতান চৌধুরী জেলা যুবলীগের আসন্ন কমিটিতে প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফলে ভূমিমন্ত্রী জাবেদ সমর্থন দেন মোহাম্মদ ফারুককে। কিন্তু সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে ডিগবাজি দেন টিপু সুলতান। কাউন্সিলরদের সমর্থন নিয়ে আবার সভাপতি প্রার্থী হয়ে যান তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিপু সুলতান কাউন্সিল অধিবেশনে কৌশলে ভোটাভুটির আয়োজন করতে চেয়েছিলেন। কাউন্সিল অধিবেশনে টিপু সুলতানকে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জিজ্ঞাসা করেন-‘আপনি তো সিভি জমা দেননি। এখন হুট করে প্রার্থী হলেন কেন?’
জবাবে টিপু সুলতান বলেন, ‘আমি কাউন্সিলরদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’ তখন তার সমর্থক কাউন্সিলররা ‘ভোট চাই, ভোট চাই’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।
এই স্লোগান শুনে যুবলীগের চেয়ারম্যান কাউন্সিল অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রটি জানায়, টিপু সুলতান মনে করেছিলেন, কাউন্সিলরদের চাপে ভোটাভুটি হবে আর ভোটাভুটি হলে তিনি জিতে আসবেন।
টিপু সুলতান মত পরিবর্তন করে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি প্রার্থী হলেও ভূমিমন্ত্রী জাবেদের মত কি পরিবর্তন হয়েছে?
দলীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, টিপু সুলতানের ওপর চরম ক্ষেপেছেন ভূমিমন্ত্রী। কারণ কাউন্সিল অধিবেশনে টিপু সুলতানের প্রস্তাবক ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম। তিনি বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এপিএস। আর সমর্থক ছিলেন পটিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর অনুসারী।
দুই সংসদ সদস্য সামশুল হক ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। টিপু সুলতান প্রার্থী হয়ে এখন তাদের সেই বিরোধের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন!
জেলা যুবলীগ নেতাদের অনেক মনে করছেন, সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে টিপু সুলতানকে পটিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরীর সমর্থনের পেছনে হুইপ সামশুল হকের ভূমিকা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামশুল হক চৌধুরী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি তো যুবলীগ করি না, যুবলীগের কমিটি নিয়েও আমার ব্যক্তিগত কোনো চয়েস নেই। তবে টিপু সুলতান ও পার্থ সারথি যেভাবে নিরপেক্ষভাবে যুবলীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। আমি চাই, যারা লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করবেন না তাদের হাতেই নতুন কমিটির নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।’
এদিকে গত ৬ জুন টিপু সুলতান চৌধুরী ঢাকায় গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সাক্ষাতে টিপু সুলতানের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভূমিমন্ত্রী।
এ সাক্ষাতের পর দক্ষিণ জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, টিপু সুলতান তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে টিপু সুলতান চৌধুরী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে আজ সোমবার পর্যন্ত কোনো বার্তা দেননি।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘টিপু সুলতান চৌধুরী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি।’
চট্টগ্রামে যুবলীগের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত কেন্দ্রীয় একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনীতি সংবাদকে জানান, কমিটির শর্ট লিস্টে টিপু সুলতান চৌধুরীর নাম রয়েছে। তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়টা কৌশলগত কারণে কেউ গুজব ছড়িয়েছেন বলে মনে হয়।
আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি খোলাসা করেননি।
রাজনীতি সংবাদকে তিনি বলেন, ‘আমার বিষয়টা নিয়ে অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা করছেন। অপেক্ষা করেন, দেখেন না কী হয়!’
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থী থাকা না থাকাটা কিছু যায় আসে না। আমার সংগঠনের চেয়ারম্যান যাকে পছন্দ করবেন, যাকে উপযোগী মনে করবেন তাকেই নেতা নির্বাচন করবেন।’
কমিটিতে অপর সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ ফারুককে নিয়েও জটিল সমীকরণ সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল মালেক চৌধুরী জনি হত্যা মামলার এজাহারে অন্যতম আসামি ছিলেন ফারুক। তবে মামলার চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ পড়ে।
চার্জশিট থেকে বাদ পড়ায় ফারুক জনি হত্যার ঘটনায় নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করছেন। কিন্তু জনির পরিবারের সদস্যরা ফারুককে এ হত্যার ঘটনায় দায়ী করছেন। তারা বলছেন, ফারুক কোনো নেতার প্রভাব খাটিয়ে চার্জশিট থেকে তার নাম কাটিয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা জনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়া ছাড়াও ফারুকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন জেলার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে ফারুকের কাছে ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের পদ ছাড়ার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না থাকার কারণ জানতে চেয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। কিন্তু ফারুক এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
দলীয় সূত্রের খবর, ভূমিমন্ত্রী জাবেদের অনুসারী ফারুককে যে কোনো মূল্যে ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছেন মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সামশুল হক। ছাত্রলীগ নেতা জনি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় ফারুককে তারা মেনে নিতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠেছে।
জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ মোছলেম উদ্দিন ও ভূমিমন্ত্রী জাবেদের মধ্যে ভাগাভাগি হলেও যুবলীগের কমিটি নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। চলছে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে মোছলেম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে যুবলীগের সম্মেলনের ভেন্যু আনোয়ারা থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসেন।
এসব বিষয়ে কথা বলতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
একদিকে ছাত্রলীগ নেতা জনি হত্যার ঘটনায় অভিযোগের তীর, অন্যদিকে মোছলেম উদ্দিন ও সামশুল হকের ‘বিরোধিতা’-এই দুই কঠিন বাধা ডিঙানো ফারুকের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ জানিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
রাজনীতির মারপ্যাচে নেই পার্থ সারথি-নাছির উদ্দিন
টিপু সুলতান ও ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্যের গ্যাড়াকলে পড়লেও রাজনীতির মারপ্যাচে নেই অপর দুই সভাপতি প্রার্থী পার্থ সারথি চৌধুরী ও নাছির উদ্দীন মিন্টু। তাদের সামনে প্রতিবন্ধকতা হলো তারা দুজনই একই উপজেলার প্রার্থী।
জানতে চাইলে পার্থ সারথি চৌধুরী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি কোনো গ্রুপিং রাজনীতির মধ্যে নেই। তবে আমার সামনে সমস্যা হলো একটা, আমার উপজেলায় আরও একজন (নাছির উদ্দীন মিন্টু) প্রার্থী আছেন। দুজনের মধ্যে একজন মাইনাস হবে।’
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ আমাকে সমর্থন দেয়নি বটে কিন্তু কেউ বিরোধিতা করবে না বলে আমার বিশ্বাস।’
জানতে চাইলে নাছির উদ্দীন মিন্টু রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘সবাই বলে আমি বিপ্লব বড়ুয়ার প্রার্থী কিন্তু উনি সেটা বলেন না। তবে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ আমি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় আছি।’
সাধারণ সম্পাদক পদের দৌড়ে এগিয়ে সাইফুল
সাধারণ সম্পাদক পদে ২৭ জন প্রার্থী থাকলেও তাদের মধ্যে নানা দিক বিবেচনায় এগিয়ে আছেন সাইফুল ইসলাম।
দলীয় সূত্রের খবর, সাইফুল ইসলাম দৌড়ে এগিয়ে আছেন মূলত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের কারণে। নিজের এলাকার প্রার্থী সাইফুলের জন্য বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আটঘাট বেঁধে নেমেছেন।
মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সমর্থনের ওপর অনেকটা আত্মবিশ্বাস রয়েছে সাইফুল ইসলামের।
তার কথায়, ‘আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ মোছলেম ভাই আমার জন্য সুপারিশ করেছেন। আশা করছি, যুবলীগের চেয়ারম্যানও আমার দিকে সুনজরে দেখবেন।’
দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, যদি যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কোনো কারণে সাইফুলের ওপর আস্থা না রাখেন তাহলে সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে থেকে সাধারণ সম্পাদক বেছে নেওয়া হতে পারে।
এক উপজেলা থেকে একজন আর নতুন-পুরাতনের সমীকরণ
জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতারা মনে করছেন, দুই উপজেলা থেকে সমন্বয় করে যুবলীগের নতুন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচন করা হতে পারে। কারণ বিগত সময়েও জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি-সম্পাদক দুই উপজেলা থেকেই নির্বাচিত হয়েছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনীতি সংবাদকে জানান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে নতুন-পুরাতনের সমীকরণ হতে পারে। জেলার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে একজন নতুন কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে পারেন।
এক উপজেলা থেকে একজন আর নতুন-পুরাতনের সমীকরণে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে পটিয়া থেকে টিপু সুলতান ও মোহাম্মদ ফারুকের মধ্যে একজন বাদ পড়বেন। একইভাবে সাতকানিয়া থেকেও পার্থ সারথি ও নাছির উদ্দীনের মধ্যে একজন মাইনাস হবেন।
এই দুই কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে কারা আসবেন নেতৃত্বে তা দেখার অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা।