নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ জুন, ২০২২ ১০:২৬ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত ফায়ার সার্ভিস কর্মীর নাম গাউসুল আজম। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে।
আজ শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সেদিন রাতে কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন গাউসুল আজম।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম, আইউব হোসেন জানান, গাউসুলের শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে যায়। সঙ্গে তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম থেকে হেলিপ্টারে করে ঘটনার পরদিন তাকেসহ ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই তাকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। মাঝে কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সর্বশেষ তার অবস্থার আবার অবনতি হলে তাকে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন গাউসুল আজম। দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন তিনি। সিয়াম নামে ৬ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে তার। দুই ভাই-বোনের মধ্যে গাউসুল ছিলেন ছোট।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ঘটনায় গাউসুল আজমসহ এখন পর্যন্ত ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হলো। আর সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫-এ। ডিপো থেকে উদ্ধার করা যেসব পোড়া লাশ ও কঙ্কাল শনাক্ত করা যায়নি, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনজন কর্মী রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।