নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ জুন, ২০২২ ৯:১৯ : অপরাহ্ণ
পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে যে সুযোগ রাখা হয়েছে, তা নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে দলটির ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।
নির্ধারিত কর দিয়ে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার ঘোষণায় পাচারকারীরা আরও উৎসাহিত হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা ঠিক সেইভাবে দেখলে হবে না। দেশের অনেক টাকা পাচার হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশেও এই ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা সেই সুযোগটা দিচ্ছি। আমরা দেখি, যদি এই সুযোগের সুফল না আসে তাহলে আমরা সুযোগটা উঠিয়ে নেব। এই বাজেটের দেওয়া সুযোগে আমরা সুফল পেতে পারি।’
বিদেশের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের সমালোচনা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বক্তব্য যদি সত্য হিসেবেই ধরে নিই, তাহলে সাত শতাংশ কর দানের মাধ্যমে কেউ যদি টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে মির্জা সাহেবদের খুশি হওয়ার কথা। এখন কেন তারা অভিযোগ করছে? অর্থপাচারের অভিযোগ তুলবেন, আর যখন টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেব, তখনো অভিযোগ করবেন, সেটা তো আপনাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, দ্বিচারিতা।’
আরও পড়ুন: এটা ডলার পাচারকারী ও লুটেরাদের বাজেট: বিএনপি
ক্ষমতায় থাকাকালে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুইবার কালো টাকা সাদা করেছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। পাচারকারী হিসেবে আপনাদের (বিএনপি) বিশ্ব রেকর্ড।’
বক্তব্যে প্রস্তাবিত বাজেটকে শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে সম্পূর্ণ আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনা পরবর্তী বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির বাস্তবতায় পৌনে সাত লাখ কোটি টাকার এই বাজেট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রতিফলন।’
আন্তর্জাতিক বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে সহনীয় রাখতে বাজেটে ৮৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি রাখা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির চাপ দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না প্রধানমন্ত্রী সেটা বলেছেন। এ কারণে এবারের বাজেটে প্রস্তাবনা বাস্তবতার আলোকে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।