নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ জুন, ২০২২ ১১:৫১ : পূর্বাহ্ণ
ঢাকার মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন শিকদার মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে মুসাকে নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করে।
ঢাকায় আনার পর তাকে মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওমান থেকে মুসাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
ওমানে মুসা আটক হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সমঝোতায় তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বুধবার রাতে ডিবি পুলিশের ৩ সদস্যের একটি টিম তাকে নিয়ে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এর আগে ওমানের সিআইডি বাংলাদেশ পুলিশ টিমের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।
মুসাকে আনতে ওমানে যান ডিবির মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মুসা গত ৭ মে দুবাই থেকে ওমানে যান এবং ১১ মে ওমান থেকে দুবাই যাওয়ার পথে হাততা বর্ডারে ইমিগ্রেশন করার সময় গ্রেপ্তার হন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়।
ইন্টারপোলের দেয়া তথ্যে গত ১৭ মে মুসাকে আটক করে ওমান পুলিশ। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিবি ও এনসিবির তৎপরতায় মুসাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মুসাকে আটক করতে না পারায় খুনে ব্যবহ্যত অস্ত্র এবং মোটর সাইকেলের হদিস মিলছে না। এ পর্যন্ত ধৃতরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে পারেনি। মুসাকে দেশে ফেরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জট খুলতে পারে।
টিপু হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন আগেই মুসা দুবাই চলে যান। হত্যা পরিকল্পনা এবং যাবতীয় নির্দেশনা সেখান থেকে দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দুবাইতে বার্তা যায় ‘কাজ শেষ’।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা জামে মসজিদের কাছে টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় নিজের মাইক্রোবাসে করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। গাড়িটি যানজটে পড়ার পর একটি মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরা এক যুবক টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে সামিয়া আফরান প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন।
পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেছিলেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরো একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে। এরপর ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।