বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

বাবাকে ফিরে পেতে নমুনা দিলো ৭ মাসের শিশু ফাইজা


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাবাকে শনাক্ত করতে ফাইজারের মুখের লালা নেন সিআইডির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২২ ৮:২১ : পূর্বাহ্ণ

ফাইজা রহমান। বয়স মাত্র সাত মাস। এখনও পুরোপুরি বাবাকে চেনা হয়নি তার। ঠিক মতো ‘বাবা বাবা’ বলে ডাকতেও পারে না। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বাবার লাশ চিহ্নিত করতে তাকেই দিতে হলো নমুনা!

দু’দিনেও মেলেনি প্রিয় বাবার লাশ। তাই বাবার লাশটি ফিরে পেতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে এলো সাত মাসের মেয়ে ফাইজা রহমান।

সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় গত শনিবার রাতে নিখোঁজ হন ফাইজার বাবা আবদুস সোবহান। ৯ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারের সামনে সোমবার তার বাবাকে শনাক্ত করতে ফাইজারের মুখের লালা নেন সিআইডির সদস্যরা।

এ সময় দুই চোখ বেয়ে জল পড়তে দেখা গেছে পাশে দাঁড়ানো আবদুস সোবহানের স্ত্রী ইস্পাহান সুলতানার। নিখোঁজ সোবহানের লাশটি খুঁজে পেতে মেয়ের পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সোবহানের বোনেরও।

আরও পড়ুন: ‘আমি ডিউটিতে যাচ্ছি, দোয়া কইরো’, মায়ের সঙ্গে শেষ কথা ছিল রবিনের

ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ও কান্নারত অবস্থায় ইস্পাহান সুলতানা বলেন, ‘দুই দিন ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে হন্যে হয়ে স্বামীর লাশ খুঁজছি। কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না। আল্লাহ আমাকে এত বড় শাস্তি কেন দিলো?’

শনিবার রাতে ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আবদুস সোবহান। স্ত্রী ইস্পাহানকে ভিডিও কল দিয়ে আগুনের ভয়াবহতা দেখাচ্ছিলেন তিনি। স্ত্রী তখন আগুনের কাছ থেকে তাঁকে দূরে সরে যেতে বারবার তাগাদা দেন। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান ইস্পাহান।

লাশ ফিরে পেতে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন সোবহানের ভাই রায়হান উদ্দিনও।

তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকায়। মাত্র আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন সোবহান।

আরও পড়ুন:

৪০ মিনিট লাইভের পর বিস্ফোরণে উড়ে যান অলিউর

‘কালেমা পড়েছি, ক্ষমা করে দিও’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর