নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২২ ৭:১৭ : অপরাহ্ণ
সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ সময় সংগঠনটির আরও ৭ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
হামলায় জোনায়েদ সাকির নাক থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তিনি বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছেন। হামলার পর হাসপাতালেই তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হামলায় সাকির ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তার ওপর এই হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
হামলায় আহত অন্যরা হলেন-গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও সদস্যসচিব ফরহাদ জামান; ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল; গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার ডলি।
আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিপোতে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের দেখে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সেখান থেকে বের হন জোনায়েদ সাকিসহ অন্যরা। তারা যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন, সে সময় সাত–আটজনের একটি দল জোনায়েদ সাকিসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে জোনায়েদ সাকি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এখন চিকিৎসা নিচ্ছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।
সম্প্রতি বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে সাত দল ও সংগঠনকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মোর্চা’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
আজ দুপুরে ওই সাত দল ও সংগঠনের নেতারা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণস্থল বিএম কনটেইনার ডিপো দেখতে যান। সেখান থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোখলেচুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কারা ঘটিয়েছে এবং ঠিক কী ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।