রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ জুন, ২০২২ ৩:৩৭ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে শাসনের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আজ বুধবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় তিনি সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিদেশি দূতদের মতামত জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার প্রবণতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় রাষ্ট্রদূতদের দেশের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
একইসঙ্গে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্বের কথা বলেছি, যেন বাংলাদেশের জনগণ অবাধে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারেন।’
বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশি দূতদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রে কেন তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১ লাখ মার্কিন নাগরিক নিখোঁজ হচ্ছে। এমনকি শিশুরা তাদের হিস্পানিক পিতামাতার সঙ্গে দেখা করা থেকে বঞ্চিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়। আমাদের দেশ শাসন ও উন্নতিতে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য নয়।’
সাংবাদিকদের আবদুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এসব বিষয়ে কেন প্রশ্ন করেন না? যদি তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, তাহলে সেখানকার তরুণ নাগরিকদের কেন তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস নেই? কেন তারা ভোট দিতে যায় না? খুব কম মার্কিন তরুণই আছে, যারা ভোট দেয়। প্রতি নির্বাচনে কেন তাদের ভোট গণনা ২৫ শতাংশের মতো? এটা কি অংশীদারিত্বের ভোটের প্রতিনিধিত্ব করে?’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, তাহলে তারা কেন রাশিয়ান চ্যানেল আরটির সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। যদি তারা জবাবদিহিতা চায়, তাহলে মার্কিন পুলিশ যে প্রতি বছর কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করছে, সেজন্য কেন তাদের বিচার হচ্ছে না, তারা কেন জবাবদিহির আওতায় আসছে না?’