নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ জুন, ২০২২ ১১:৫৩ : অপরাহ্ণ
ঢাকা বিভাগ ভেঙে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে পদ্মা নদীর নামানুসারে ‘পদ্মা’ নামে হচ্ছে নতুন বিভাগ। একইভাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ভেঙে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামানুসারে ‘মেঘনা’ নামে করা হচ্ছে অন্য একটি নতুন বিভাগ।
এই প্রথম দেশের প্রধান দুটি নদী পদ্মা-মেঘনার নামে নতুন দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগের সদর দপ্তর হবে ফরিদপুরে এবং মেঘনা বিভাগের সদর দপ্তর হবে কুমিল্লায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিভাগ দুটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার কথা। এ ছাড়া ওই বৈঠকে একটি নতুন পৌরসভা ও আরেকটি পৌরসভার সীমানা নির্ধারণসহ মোট ছয়টি এজেন্ডা উপস্থাপন করা হতে পারে।
বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ হচ্ছে।
এ বিভাগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত আন্দোলনকারীরা ফরিদপুরের নামেই বিভাগের নামকরণের জোর দাবি জানিয়েছিলেন।
বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর এবং বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর থাকছে ‘মেঘনা’ বিভাগে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর কোনো বিভাগের নাম সংশ্লিষ্ট জেলার নামে হবে না বলে এর আগে একাধিক বৈঠকে বলেছিলেন। তার সেই কথার বাস্তবায়নই হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর ছয়টি জেলায় প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমানো ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে প্রায় এক দশক আগেই সরকার দুটি বিভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এরপর বিভিন্ন সময় বিভাগ সম্পর্কিত বিষয় আলোচনায় এলে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নেতাদের প্রতিযোগিতার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিয়েছে সরকার।
নতুন এই বিভাগ দুটি নিকারের অনুমোদন পেলে দেশে বিভাগের সংখ্যা হবে ১০টি। যদিও নতুন বিভাগ দুটির কার্যক্রম শুরু করতে আরও কিছু প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে সরকারকে।