রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২২ ১০:০৭ : পূর্বাহ্ণ
চলতি মাসেই বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ কমিশনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যেতে পারেন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে আবারও আলোচনায় তিস্তা চুক্তি।
আসামের গুয়াহাটিতে ‘নদী’ সম্মেলনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা ১১ বছর ধরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে পারিনি। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আমাদের ৫৪টি নদী রয়েছে। আমরা সব নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ভাগাভাগি ও একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। উভয়পক্ষের পুরো অববাহিকা এলাকার মানুষের মঙ্গলের জন্য যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
আব্দুল মোমেন বলেন, এটি একটি লজ্জার বিষয়। আমরা প্রস্তুত ছিলাম, তারা প্রস্তুত ছিল, তবুও চুক্তি হয়নি। ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় ধরনের হাহাকার হবে এবং আমাদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এক দশক ধরে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে। ভারতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুললেও কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি হচ্ছে না।
২০১১ সালে তিস্তার পানি ৩৭.৫ শতাংশ শেয়ার করতে রাজি হয়েছিল ভারত। আর ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে পানি স্বল্পতার মৌসুমে ৪২.৫ শতাংশ পানি ধরে রেখেছিল দেশটি। এছাড়া সিকিমের তিস্তা বরাবর বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে পানি স্বল্পতার মৌসুমে আরও কম পানি প্রবাহিত হচ্ছে।