বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশের সময় :২৮ মে, ২০২২ ৯:৩১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলনে চমক দিয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান চৌধুরী। নতুন কমিটির জন্য তিনি কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা না দিলেও সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলররা তাকে আবার সভাপতি পদে প্রার্থী করেন।
তবে দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ভার কেন্দ্রের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন কাউন্সিলররা।
আজ শনিবার পটিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলররা এ সিদ্ধান্ত দেন। অবশ্য সম্মেলনের আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন কাউন্সিলররা।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন কমিটি থেকে ঝরে গেছেন ১৭ প্রার্থী
নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৯ জন প্রার্থী যুবলীগের কেন্দ্রে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্মেলনে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী না থাকায় ৫ জন সভাপতি ও ১২ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঝরে যান।
এখন সভাপতি পদে ৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৭ জন প্রার্থী আছেন।
কমিটির সভাপতি প্রার্থী নিয়ে পাল্টে গেছে সমীকরণ
জেলা যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান চৌধুরী সভাপতি পদে আবার প্রার্থী হওয়ায় কমিটি নিয়ে পাল্টে গেছে সমীকরণ।
টিপু সুলতান চৌধুরীর বাড়ি পটিয়ায়। সভাপতি পদে অপর প্রার্থী দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফারুকের বাড়িও পটিয়ায়। তারা দুজনই ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের অনুসারী।
সম্মেলনের আগে টিপু সুলতান চৌধুরী প্রার্থী হননি। সে কারণে ভূমিমন্ত্রী সমর্থন দিয়েছিলেন মোহাম্মদ ফারুককে।
কিন্তু টিপু সুলতান এখন প্রার্থী হওয়ায় পাল্টে গেছে সমীকরণ।
সভাপতি পদে অপর এক প্রার্থী নাম প্রকাশ করার শর্তে রাজনীতি সংবাদকে জানান, টিপু সুলতান চৌধুরী প্রার্থী হয়ে ভূমিমন্ত্রীকে এখন বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন। ভূমিমন্ত্রী এখন কাকে কাছে রাখবেন আর কাকে দূরে ঠেলে দেবেন সেটাই দেখার বিষয়।
জানতে চাইলে টিপু সুলতান চৌধুরী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘কাউন্সিলররা সমর্থন করায় আমি আবার সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। ফারুক সভাপতি প্রার্থী থাকতে পারে কিন্তু মন্ত্রী সাহেব (ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ) তো আমাকে ভালোবাসেন। মন্ত্রী সাহেব এখন আমাকে সমর্থন করতেও পারেন।’
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে বেকায়দায় বলতে কিছু নেই। রাজনীতি করতে হয় সমঝোতা করে। অসুবিধা নেই কেন্দ্র যদি মনে করে এ পদের জন্য আমি যোগ্য নই, তাহলে আমাকে দায়িত্ব দেবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ফারুক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘উনি (টিপু সুলতান চৌধুরী) যে সিভি জমা না দিয়ে প্রার্থী হলেন সেটা নিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে উনাকে প্রশ্ন করেছেন। আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’