রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ মে, ২০২২ ৫:৫১ : অপরাহ্ণ
বৃষ্টি-বাগড়া উপেক্ষা করে সাকিব আল হাসান আর এবাদত হোসেনের বলে ভালো কিছুর আশা করছিলো বাংলাদেশ।
কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে সেই আশাটা মলিন হয়ে উঠেছে। ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে গিয়ে প্রথম ইনিংসের মতো ভেঙে পড়ে টপঅর্ডার।
স্কোরবোর্ডে ২৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩৪ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিন শেষে ১০৭ রানে পিছিয়ে থাকা মমিনুল বাহিনীকে চোখ রাঙাচ্ছে হার।
দিন শেষে উইকেটে ছিলেন লিটন দাস (১৬)। তার সঙ্গে ১৪ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।
দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শ্রীলঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় স্লিপে থাকা কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম ইকবাল।
তামিমের অনাকাঙ্খিত বিদায়ের পর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমার সরাসরি থ্রোতে আউট হন তিনি।
পরের দুই ওভারে ফেরেন অধিনায়ক মমিনুল হক এবং ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ফর্মহীন মমিনুল প্রথম ইনিংসে ৯ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতা। জয়ের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর এই দুই ব্যাটারের দারুণ জুটিতে ৩৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতার পর এই জুটির দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ শিবির।
এর আগে চতুর্থ দিনের প্রথম দুই সেশনেও ছিল বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক। আগের দিনের দুই অপরাজিত লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এবং দীনেশ চান্দিমালকে প্রথম দুই সেশনে ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা।
তৃতীয় সেশনে এসে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন ইবাদত। চান্দিমালকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। লঙ্কানদের ব্যাটিং ইনিংসে ধস নামাটা বেশ দেরিই হয়ে গিয়েছিল।
এর আগে লঙ্কান সেনাপতি দিমুথ করুণারত্নে করেন ৮০, ওশাদা ফার্নান্দো ৫৭ এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৪ রান করে দলের স্কোর বাড়িয়ে যান।
শেষ পর্যন্ত ১৪১ রানের লিড নিয়ে ৫০৬ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। আর এবাদত হোসেন পেয়েছেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৬৫
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ১৬৫.১ ওভারে ৫০৬ (ম্যাথিউস ১৪৫*, চান্দিমাল ১২৪, ডিকভেলা ৯, রমেশ ১০, জয়াবিক্রমা ০, আসিথা ২; খালেদ ২৩-৩-৮৫-০, ইবাদত ৩৮-৪-১৪৮-৪, সাকিব ৪০.১-১১-৯৬-৫, মোসাদ্দেক ১২-১-৩৮-০, তাইজুল ৪৯-১০-১২৪-০, মুমিনুল ৩-০-৭-০)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৩ ওভারে ৩৪/৪ (তামিম ০, জয় ১৫, শান্ত ২, মুমিনুল ০, মুশফিক ১৪, লিটন ০ ; রাজিথা ৬-৩-১২-১, ফার্নান্দো ৬-২-১২-২)।