রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ মে, ২০২২ ৯:৫৫ : পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম শহর মারিউপোল পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার শহরটি সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দখলে নেয় বলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এটিকে নিজেদের বড় জয় দেখছে দেশটি।
মস্কোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মারিউপোলের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় গত এক মাস ধরে ইউক্রেনের যে যোদ্ধারা প্রতিরোধ করে যাচ্ছিলেন, তারা আত্মসমর্পণ করেছেন।
গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের সেনারা ইস্পাত কারখানার এলাকার দখল ধরে রেখেছিল। যার ফলে মারিউপোল শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি রাশিয়ান সেনারা।
শুক্রবার কারখানা থেকে ইউক্রেনের যোদ্ধারা চলে যাওয়ায় এই যুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ অবরোধের সমাপ্তি ঘটলো।
মারিউপোল শহরটি এখন একপ্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, মারিউপোল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যে পরিকল্পনা ছিল, সে পরিকল্পনায় তিনি সফল হয়েছেন।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি দেশটির মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শহরটিতে ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে তারা আত্মসমর্পণ করে। ওই দিন থেকে প্রায় ২ হাজার ৪৩৯ জন সৈন্য আত্মসমর্পণ করেন। এছাড়া গতকাল শুক্রবার একসঙ্গে আরও ৫০০ জন আত্মসমর্পণ করে।
সৈন্যরা আত্মসমর্পণের পর তাদের আটক করে জেলখানায় নিয়ে যায় রাশিয়া। এদের মধ্যে কিছু সৈন্যকে সাজা দেওয়া হয়। বাকীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে রাশিয়া মারিউপোল দখলে নেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সেখানে সর্বশেষ যারা প্রতিরোধ লড়াই করে যাচ্ছিলেন, তাদের ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার ইউক্রেনের টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের জীবন রক্ষা করার জন্য আজ আমাদের ছেলেদের সামরিক কমান্ড থেকে পরিষ্কার বার্তা দেয়া হয়েছে।
প্রায় দুই মাস ধরে মারিউপোল শহরে অবরোধ ও বোমাবর্ষণ করে আসছে রাশিয়া। এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। তবে পাল্টা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন পুতিন। সেই সঙ্গে সবসময়ই পারমাণবিক হামলার হুমকিও দিয়ে চলেছেন।