রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ মে, ২০২২ ১২:৫৩ : অপরাহ্ণ
ভালো নেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যই নয়, তিনি শারীরিকভাবেও ‘গুরুতর অসুস্থ’। সাবেক বৃটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি সম্প্রতি এই দাবি করেছেন।
তিনি জানান, রাশিয়ায় থাকা বিভিন্ন সোর্স নিশ্চিত করেছে যে, পুতিনের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিলেন ক্রিস্টোফার। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, আগে থেকেই পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল।
এবার বৃটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টোফার স্টেলিও একই ধরনের দাবি করলেন।
তার মতে, পুতিনের শারীরিক অবস্থা ভীষণ সঙ্কটজনক। তবে তিনি কী রোগে ভুগছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাছাড়া এই রোগ নিরাময়যোগ্য কিনা তাও জানা যায়নি।
এক রুশ ধনকুবেরের বরাত দিয়ে সে খবর পশ্চিমা গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার হয়েছে। পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ওই রুশ ধনকুবেরের কথোপকথনের রেকর্ডিং হাতে এসেছে বলেও দাবি করেছে মার্কিন সাময়িকী নিউ লাইনস।
বিভিন্ন রিপোর্টে জানানো হয়, ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর নির্দেশ দেয়ার আগে পুতিনের একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এটা পুতিনের রক্তের ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ।
মার্কিন সাময়িকীর দাবি ওই রুশ ধনকুবের বলেছেন, পুতিন পাগল হয়ে গেছেন। তিনি ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই চাই পুতিন মরে যাক। তিনি রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছেন। কিন্তু তার মাথাটি যতদিন চলছে সমস্যা ততদিন থাকছেই। একজন পাগল মানুষ পুরো দুনিয়াকে উলটপালট করে দিতে পারে।
যে রুশ ধনকুবের পুতিনের অসুস্থতার দাবি করেছেন তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। গুরুতর অসুস্থতার রিপোর্ট থাকলেও প্রায়ই প্রকাশ্যে আসছেন পুতিন। সেসব ফুটেজ দেখে তার শারীরিক অবস্থা ধারণা করার চেষ্টা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
গত ৯ মে রাশিয়ায় ‘বিজয় দিবস’ পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত সেনাবাহিনীর হাতে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের দিন এটি। এ বছর দিবসটি উপলক্ষে মস্কোর রেড স্কয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজে ভাষণ দেন পুতিন। এই আয়োজনের ছবি ও ভিডিওতে তাকে বেশ দূর্বল দেখা যায়।
তাকে একটি কম্বল নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। সেসময় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ওই এলাকায়। এ জন্য আলাদা শীতের পোশাকেরও দরকার ছিল না। পুতিনকে কাশি দিতেও দেখা যায় বিভিন্ন ফুটেজে। এরপর আরও জোরালো হয় পুতিনের অসুস্থতার গুঞ্জন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাও পুতিনের অসুস্থতার কথা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। পরিচয় গোপন রেখে তিনি স্কাই নিউজের প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, পুতিন মানসিক ও শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সম্ভবত তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত।
সম্প্রতি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সঙ্গে একটি বৈঠকে পুতিনকে বেশ অসুস্থ মনে হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ প্রেসিডেন্ট তার চেয়ারটিকে টেবিলের কাছাকাছি এনে শক্তভাবে বসে আছেন।