রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মে, ২০২২ ৭:৪৪ : অপরাহ্ণ
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির ৫ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে তাকে শপথ পড়ান বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।
শপথ গ্রহণের পর রনিল বিক্রমাসিংহে রাজধানী কলম্বোর একটি মন্দিরে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিক্রমাসিংহে। এরপরই তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বলে শোনা যায়।
রনিল বিক্রমাসিংহের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৪ মার্চ। সিলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনার পর সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি।
৭৩ বছর বয়সী এই ইউএনপি নেতা ৪৫ বছর ধরে সংসদে আছেন। তার ব্যাপক আন্তর্জাতিক সংযোগ আছে এবং তাকে একজন দক্ষ আলোচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে পশ্চিমপন্থী মুক্তবাজার সংস্কারবাদী হিসাবে দেখা হয়।
প্রসঙ্গত, রনিল বিক্রমাসিংহে এর আগেও পাঁচবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৩-১৯৯৪, ২০০১-২০০৪, ২০১৫-২০১৫ (১০০ দিন), ২০১৫-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯৪-২০০১ এবং ২০০৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটিতে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কখনও কখনও দিনে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে।
এসব সংকটের কারণে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না পেয়ে তাদের মনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ক্ষোভ এখন তীব্র বিক্ষোভ আর সংঘাতে রূপ নিয়েছে। যার ফলে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যায় দেশটির মন্ত্রিসভা।
শ্রীলঙ্কায় এখনো বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। মাহিন্দাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির বাসভবনে আগুন দেয়া হয়। এরপর গত মঙ্গলবার সপরিবারে একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নেন মাহিন্দা রাজপাকসে। বুধবার ওই নৌঘাঁটিতে বিক্ষোভকারীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। তিনি এখনো সেখানে অবস্থান করছেন।