রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মে, ২০২২ ৩:২৩ : অপরাহ্ণ
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দেশটির ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে।
ধারণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি শপথ নিতে পারেন।
তার দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।
জানা গেছে, শপথ গ্রহণের পর রনিল রাজধানী কলম্বোর একটি মন্দিরে যাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
রনিল বিক্রমাসিংহে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪, ২০০১ থেকে ২০০৪ এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৯৪ থেকে ২০০১ ও ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুইবার প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রনিল বিক্রমাসিংহে কলম্বোর রয়্যাল কলেজে অধ্যয়ন করেন। পরে সিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি হন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর শ্রীলঙ্কা ল কলেজ থেকে আইন পরীক্ষায় অংশ নেন। ১৯৭২ সালে অ্যাডভোকেট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. মৈত্রী বিক্রমাসিংহের সঙ্গে তিনি ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়েসন্তান রয়েছে। রনিল বিক্রমাসিংহে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ২০১৪ সালে রবার্ট ই. উইলহেম ফেলো মনোনীত হন।
গত সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাহিন্দা রাজপাকসে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যায় দেশটির মন্ত্রিসভা।
এরপর চলতি সপ্তাহে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রনিল বিক্রমাসিংহের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গোতাবায়ে রনিলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
বৈঠকে গোতাবায়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তাকে প্রস্তাব দেন। আর রনিল বিক্রমাসিংহ প্রেসিডেন্টকে গলের বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দিতে বলেন।
শ্রীলঙ্কায় এখনো বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। মাহিন্দাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির বাসভবনে আগুন দেয়া হয়। এরপর গত মঙ্গলবার সপরিবারে একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নেন মাহিন্দা রাজপাকসে। বুধবার ওই নৌঘাঁটিতে বিক্ষোভকারীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। তিনি এখনো সেখানে অবস্থান করছেন।