রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মে, ২০২২ ১০:২৩ : পূর্বাহ্ণ
উত্তর কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে শনাক্ত হওয়া নমুনায় ওমিক্রন ধরন পাওয়ায় দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দুর্ভেদ্য বলয় গড়ে তোলা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত সেই বলয় ভেদ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যার ফলে দেশটি সবচেয়ে বড় ‘জরুরি অবস্থার’ মুখোমুখি হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত ৮ মে পিয়ংইয়ং থেকে সংগ্রহ করা কিছু নমুনায় ওমিক্রন ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে ওই শহরে ঠিক কতজনের দেহে এ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, তা বলা হয়নি। সংক্রমণের উৎস সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
কেসিএনএ বলছে, এটি ছিল ‘সবচেয়ে বড় জরুরি ঘটনা’ এবং নেতা কিম জং উন কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন।
করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়াকে জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে দেশটির প্রধান নেতা কিম জং উন তার ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। তবে এর আগেই তিনি সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
তবে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, দেশটিতে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।
মহামারি শুরুর পর দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও সরকারিভাবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়া দেশটির নাগরিকদের করোনাভাইরাসের কোনো টিকা দেয়নি। যদিও সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল দেশটি।
দেশটি নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রেখে এ ভাইরাস ঠেকানোর পদ্ধতি অবলম্বন করে এসেছে এতদিন। এতে দেশটির অর্থনীতি, জরুরি পণ্য সরবরাহ ও খাদ্য পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে।
গত বছরের জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনা সংক্রান্ত ‘গুরুতর ঘটনার’ জন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছিলেন কিম। এর পর সেপ্টেম্বরে হাজমাত স্যুট ও মাস্ক পরা একদল সেনা সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
এটি দেখার পর কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, দেশটিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের একেবারে শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। তখন থেকেই উত্তর কোরিয়া বলে আসছিল, সেখানে করোনার অস্তিত্ব নেই।