রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২২ ১০:৩১ : পূর্বাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ শক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। এটি দমকা হাওয়া আর বৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে।
আজ বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হঠাৎ গতিপথ বদলে ভারতের উপকূলীয় এলাকার দিকে আগাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখন সেটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে অন্ধ্র প্রদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বিশাখাপত্তনম ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পরিচালক সুনন্দা জানিয়েছেন, গতিপথ বদলে ঘূর্ণিঝড়টি কাকিনাড়া উপকূল স্পর্শ করতে পারে। এরপর সেটি আবার কাকিনাড়া ও বিশাখাপত্তনমের মধ্যকার সমুদ্রে চলে যাবে। আগে ঝড়ের গতিপথ উত্তর-পশ্চিম দিক দেখাচ্ছিল। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। ঝড়টি এখন অন্ধ্র উপকূলের খুব কাছে।
দেশের আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ঝড়টি ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে অশনি অন্ধ্রপ্রদেশের মাছিলিপতনম থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অশনি। অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া থেকে দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। বিশাখাপত্তনম থেকে ৩১০ কিমি দূরে রয়েছে ঝড়টি। পুরি থেকে অশনির দূরত্ব ৬৬০ কিলোমিটার।
অশনির প্রভাবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর তা ঘনীভূত হয়ে শনিবার নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপের রূপ নেয়। এরপর দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে রোববার ভোরে পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়ে। তখন এটি ‘অশনি’ নাম পায়।