নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২২ ১২:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের দুপক্ষ আবার পাল্টাপাল্টি থানা-ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দুটি ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
ইমু-দস্তগীরের কমিটির ৮ ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবদুল খালেক ও যুগ্ম সম্পাদক মো. মইনুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দুটি থানা ও দুটি ওয়ার্ডে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
ইমু-দস্তগীর যে দুটি ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা করেন সেগুলো হলো-৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড ও ২১ নম্বর জামাল খান ওয়ার্ড।
মোহরা ওয়ার্ডে মোস্তফা কামালকে আহ্বায়ক করে ৪২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর জামাল খান ওয়ার্ডে জুবায়ের আলম আশিককে সভাপতি ও শাহীন আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০ সদস্যের আংশিক কমিটি করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ দুটি ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা করেছিলেন আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা।
খালেক-মইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে যে দুটি থানা ও দুটি ওয়ার্ডে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয় সেগুলো হলো-সদরঘাট থানা, চান্দগাঁও থানা, ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড এবং ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড।
সদরঘাট থানায় আদিত্য দাস জয়কে আহ্বায়ক করে ৭০ সদস্যের কমিটি করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ২০ সদস্যের আংশিক কমিটিতে কামরুল হাসান আরমানকে সভাপতি ও ফরহাদ খান ইরফানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে ২ সদস্যের আংশিক কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে ফারুক আজমকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মো. আবু সাইয়িদকে।
৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে ২ সদস্যের আংশিক কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে খালিদ হোসেন অন্তরকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মুনতাকিন রহমানকে।
এর আগে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের ১০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন ইমু-দস্তগীর। আর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সদরঘাট থানার ৭৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড ও ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে তারা এখনো কমিটি ঘোষণা করেননি।
সংগঠনের একটা অংশের পাল্টা কমিটি ঘোষণা প্রসঙ্গে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে ওই অংশের নেতাদের আমরা কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে দেখিনি। এখন তারা নিশাচর প্রার্ণীর মতো রাতে কমিটি ঘোষণা করছে। কমিটিতে স্বাক্ষরকারী একজন পেশাজীবী। তারা ইতিপূর্বে যেসব কমিটি ঘোষণা করেছে সেসব কমিটির নেতাদের কোনো কর্মকাণ্ড নেই।’
নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মইনুর রহমান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কর্মীদের পরিচয় দেয়ার জন্য কমিটি করেছি। নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কমিটি দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। ইমরান আহমেদ ইমু নগর যুবলীগের কমিটির জন্য ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। তাছাড়া কেন্দ্র থেকে তাদেরকে এখন কোনো কমিটি ঘোষণা না করতে নির্দেশনা দিয়েছে।’