নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১০ মে, ২০২২ ২:৩৮ : অপরাহ্ণ
আগে পদত্যাগ, তারপর নির্বাচন-বিএনপি মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখেছেন, ‘পদত্যাগ কেন করতে হবে? কী কারণে, আমরা কী অন্যায় করলাম?’
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি যেসব কথা বলছে, দর কষাকষির জন্য বলছে। দর কষাকষি করে কোনো লাভ নেই, সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের আগে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনে যদি জনগণ আপনাদের ভোট দেন, নির্বাচিত করে বা আমরা হেরেও যাই, তারপরও এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সব সময় থাকবো। জনগণকে আস্থায় নিয়ে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন আমরা করবো। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। এদিক-সেদিক দর কষাকষি না করে নির্বাচনে আসুন।’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার চেয়েও বর্তমান সরকারের পরিস্থিতি খারাপ হবে: ফখরুল
বিএনপির নির্বাচনে আসার বিকল্প নেই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন, দলের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। তাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।’
ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। আপনারা কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান? কারচুপি, জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই ইভিএম ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনে কারচুপি-জালিয়াতি ঠেকানোর আধুনিক আর কোনো পদ্ধতি নেই। এখানে আপত্তি কেন থাকবে?’
সরকার ৩০০ আসনেই ইভিএম চায় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দলগতভাবে ৩০০ আসনে ইভিএম চায়। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তারা যদি না পারে, সেটা ভিন্ন কথা।’
কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিবের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ঘটনাকে অভিযুক্ত করে ফখরুল সাহেব অন্ধ সমালোচনা বিষদগার করেছেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো এলডিপির মহাসচিব নিজ হাতে আমাদের কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুজন কর্মীকে গুলি করেছেন। তারা এখনো হাসপাতালে। এ বিষয়ে ফখরুল সাহেব একটি শব্দও বলেননি। ফখরুল সাহেব আজকাল সব কিছু একচক্ষু হরিণের মত দেখেন। না হলে এলডিপির মহাসচিবের গুলি ছোড়ার বিষয়টি তিনি দেখতে পেতেন।’