রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৩১ : অপরাহ্ণ
দরকার ছিল ড্র। কিন্তু প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগই দিল না রিয়াল মাদ্রিদ। ৪-০ গোলে এস্পানিয়লকে হারিয়ে দিলো রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে রেকর্ড ৩৫ বারের মতো লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
আজ শনিবার নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রদ্রিগো গোয়েজের দুই গোল, করিম বেনজামা ও মার্কো অ্যাসেনসিওর একটিসহ মোট চার গোলে এস্পানিওলকে উড়িয়ে দেয় কার্লো অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা।
চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা উৎসবে মাতলো রিয়াল মাদ্রিদ।
৩৪ ম্যাচ খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট এখন ৮১। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলা সেভিয়া ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। তারা বাকি ৪টি ম্যাচে জিতলে পয়েন্ট হবে ৭৬। আবার ৩৩ ম্যাচ খেলে তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৩। তারা বাকি ৫ ম্যাচে জিতলে পয়েন্ট হবে ৭৮। অর্থাৎ কোনো দলেরই আর রিয়াল মাদ্রিদকে ছোঁয়ার সাধ্য নেই।
শুরু থেকে দাপট নিয়ে খেলতে থাকা রিয়ালকে প্রথম গোল এনে দেন রদ্রিগো। ৩৩ মিনিটে রদ্রিগোর চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মার্সেলোকে বল বাড়িয়ে এগিয়ে যান তরুণ উইঙ্গার। ফিরতি পাস পেয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
পরের গোলটিতে শরীরের ঝটকায় দূরের পোস্টে বল পাঠানোর ভান করে মেরেছেন কাছের পোস্টে। সে গোলে অবশ্য মারিয়ানোর অবদান ছিল। তার চাপেই বক্সের সামনে বল হারিয়েছিল এসপানিওল।
৪৩ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করা রদ্রিগো প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন। কিন্তু সতীর্থদের গোল করানোর উদারতা দেখাতে গিয়ে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
প্রতি-আক্রমণ থেকে ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন অ্যাসেনসিও। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। ডানদিকে তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত অ্যাসেনসিওকে।
এই ম্যাচে রিয়ালকে নেতৃত্ব দেয়া স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের শট দূরের পোস্টের ভেতর দিকে লেগে জড়ায় জালে।
এরপর বেনজেমা, ইসকো, টনি ক্রুস, ভিনিসিউসদের মাঠে নামান আনচেলত্তি।
৭৩তম মিনিটে ইসকো বল জালে পাঠালেও গোলরক্ষকের সামনে রদ্রিগো অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। ১০ মিনিট পর প্রতি-আক্রমণ থেকে বল জালে পাঠান বেনজেমা। ভিনিসিউসের কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। লিগে এটি তার ২৬তম গোল।
এই গোলের পরই মেক্সিকান ওয়েভ দিয়ে গ্যালারিতে শুরু হয় শিরোপা উৎসব।
রিয়াল সমর্থকদের ‘চ্যাম্পিয়োন্স’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বার্নাব্যু।
ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের সামনে। কিন্তু জালের দেখা পাননি কেউই।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের জন্যই এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কযেকজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন আনচেলত্তি। এরপরও জয় হলো অনায়াসে। এবার দলটি প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের অপেক্ষায়।