নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১১:১১ : অপরাহ্ণ
‘বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই’-এমন আত্মবিশ্বাস দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের। ‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না’ বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে নগর বিএনপির ইফতার মাহফিলে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাছির বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, আগামী বছর যেন আমরা ক্ষমতায় এসে ইফতার করতে পারি। এই মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন পথে পালাবে, সেই পথ খুঁজে পাবে না।’
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে বিদেশিদের সমর্থন আছে, দেশেও সমর্থন আছে। এখন কীভাবে শেখ হাসিনার পতন ঘটাবো, সেই সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। কিন্তু ফয়সালা হবে রাজপথে। ফয়সালা হতে হবে রাস্তায়।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলন মানে ২০০ মানুষের বিক্ষোভ, কটাক্ষ তথ্যমন্ত্রীর
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ মনস্থির করে ফেলেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বর্তমান ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার পক্ষে জনমত স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি দুটি সার্ভে রিপোর্ট পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। একটি সার্ভে হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সাহেব আগামী নির্বাচনের পর যে জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন সেটার পক্ষে কারা আর বিপক্ষে কারা। একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক চ্যানেল এই সার্ভে করেছে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই সঠিক।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আরেকটি সার্ভে করেছে ইকোনমিস্ট পত্রিকা। সারাবিশ্বে এই পত্রিকা খুবই জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। আমরা যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছি, সেটার পক্ষে কারা আছে সেটা নিয়ে সার্ভে হয়েছে। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। সুতরাং জনমত বোঝার আর বাকি নেই। জনমত নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই। জনমত গঠিত হয়ে গেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। এই সরকারের অধীনে এখন সবকিছু ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া লালদীঘির ময়দানে বলেছিলেন, দেশ বাচাও, মানুষ বাচাও। ঠিক তেমনিভাবে সুদূর লন্ডন থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একই ডাক “টেইক ব্যাক বাংলাদেশ” বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবুল হাসেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।