নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৫ এপ্রিল, ২০২২ ৬:৩৭ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আব্দুল জব্বারের বলী খেলার (কুস্তি প্রতিযোগিতা) ১১৩তম আসরে আবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার তারিকুল ইসলাম জীবন। কুমিল্লার শাহজালাল বলীকে হারিয়ে তিনি বিজয়ের মুকুট অর্জন করেন।
এর আগে ১০৯তম আসরেও তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে গতবার শাহজালাল বলীর কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন জীবন বলী।
আজ সোমবার বিকেলে লালদীঘি জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে বালুর তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে এ বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জীবন বেশ কয়েকবার শাহজালাল বলীকে ধরাশয়ী করার চেষ্টা করেও পারেননি। শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম জীবনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন খেলার রেফারি আব্দুল মালেক।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে জীবন বলী বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল এই জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হবো। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছি। এর আগে চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে শপথ নিয়েছিলাম। এবার জিতবোই। আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছে।’
বলী খেলা দেখতে হাজারো দর্শক জড়ো হয়েছিল। কানায় কানায় পূর্ণ মাঠের আশেপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদে উঠেও মানুষ দেখে ঐতিহ্যবাহী এ বলী খেলা।
এবারের জব্বারের বলী খেলায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ৭২ জন বলী অংশ নেন।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। পরে আব্দুল জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত হয়, যার জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১২ বৈশাখে অনুষ্ঠিত হয় এই খেলা। খেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পরদিন পর্যন্ত তিনদিন ধরে লালদিঘীর মাঠ ও আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বসে বৈশাখী মেলা।
বলী খেলার ১১৩তম আসরকে সামনে রেখে এর মধ্যেই পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা।