নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১:৪৮ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর পান্থপথে যেখানে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে সেটি ছিল একটি বিল। সেই বিল ভরাট করেই বসুন্ধরা শপিংমল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার দুপুরে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন।
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বসুন্ধরা শপিংমলে যখন আগুন লাগে, তখন সেই আগুন নির্বাপণের তেমন কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। বসুন্ধরা সিটি পান্থপথে হয়েছে। আসলে ওখানে ছিল খাল। সেই খাল নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং নৌকাও আসতো। ওই এলাকাটা ছিল বিশাল বিল এলাকা। সেই বিল এলাকাটাকে ভরাট করে আর খালগুলো বক্স কালভার্ট করার ফলে বসুন্ধরায় যখন আগুন লাগলো। যে বিল্ডিং গড়ে উঠেছে একটি বিলের ভেতর, সেই ভবনে আগুন নেভাবার এবং পানি দেয়ার ব্যবস্থা নেই। পানি আনতে হয়েছিল হোটেল সোনারগাঁও হোটেল থেকে। হোটেলের সুইমিং পুল থেকে পানি এনে আগুন নেভানো হয়। এটাই হচ্ছে-আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। তখন অগ্নি নির্বাপণের জন্য মাত্র চারতলা পর্যন্ত পানি দেয়ার সুযোগ ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অবশ্যই হতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের মানুষকে এ ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। ফায়ার ফাইটার আধুনিক প্রশিক্ষিত হয় আন্তর্জাতিক মানের হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছি এখানেও একটা দক্ষ জনশক্তি দরকার। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা পদক্ষেপটা হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে মাত্র ২০৪টি ফায়ার স্টেশন ছিল। অথচ জনসংখ্যা বেড়ে গেছে ১৬ কোটির উপরে সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছিলাম যে প্রত্যেকটা উপজেলা অন্তত একটি করে ফায়ার স্টেশন হবে। এছাড়া বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ফায়ার স্টেশন গড়ে তুলবো। এখন প্রায় ৪৫৬ ফায়ার স্টেশন আমাদের আছে। আজকে আরো ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে আরো ৫৫টি তৈরি হয়ে যাবে।’