নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৪ এপ্রিল, ২০২২ ৯:৩১ : অপরাহ্ণ
সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে র্যাবের বিরুদ্ধে তার দেশের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আজ রোববার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক: সহযোগিতা বৃদ্ধি ও অংশীদারত্বের দিকে অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমি সৎভাবে বলতে চাই, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা ছাড়া র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে তেমনি মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখবে।’
পিটার হাস বলেন, ‘র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারবো না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবো।’
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করতে চাই। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। খুব সাধারণভাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের মানুষ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের পছন্দমত আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে পিটার হাস আরও বলেন, ‘নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ থাকা উচিত। সাংবাদিকরাও যাতে তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরিবেশ পায় সেটিও নিশ্চিত হওয়া উচিত।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভূরাজনৈতিক অবস্থানের জন্য বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারত্বমূলক সম্পর্ক ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।’
একই সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, যেকোনো দেশ চাইলেই আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই সহযোগিতা আরও এগিয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।