নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২২ এপ্রিল, ২০২২ ৮:১৩ : অপরাহ্ণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আওয়ামী লীগকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘যারা বলে বিএনপি আন্দোলন কোন ঈদের পরে, তাদেরকে বলতে চাই তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে।’
বিএনপির আন্দোলন কোন ঈদের পরে-তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়তো সাময়িক বিরতি আছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিরোধীদলকে জেলে ভরে কেটে-মেরে বলছেন দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। মনে রাখবেন, বিএনপি এখনো আছে এবং থাকবে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার দেশের মানুষের কথা বলাসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
সরকারের ব্যর্থতায় দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার দেশের মানুষের কথা বলাসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সব পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে দেশের আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশে মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও আইনের শাসন খর্ব করা হয়েছে সেগুলো বলা হয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কারাবন্দি করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। আর সরকার মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।’
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দীন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।