রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ এপ্রিল, ২০২২ ৮:২৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘যখন একটি দলের সভানেত্রী সংসদে বলেন, আমাদের কী দোষ , বিরোধী দল আসতে চায় না, বসতে চায় না। আমরা বলি, আপনাদের দোষ হচ্ছে আপনারা দিনের ভোট রাতে করেছেন। আপনারা জনগণকে ভয় পান। আপনারা ব্যালটের পরিবর্তে ইবিএম মেশিন নিয়ে এসেছেন। ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আপনারা গত ১০ বছরে ১১ লক্ষ কোটি পাচার করে দিয়েছেন।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখন আমাদের ভয় হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা দ্রুত শ্রীলংকার মত হচ্ছে কিনা? কারণ দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের চিন্তার বিষয়। কারণ আমাদের ট্যাক্সের টাকায় দেশ চলে। আর জনগণের কষ্টে উপার্জিত টাকা আজকে তারা দুর্নীতির সাগরে ভাসাচ্ছে।’
ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দেশে এমন একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে মানুষ নিজের মানসিক অবস্থা প্রকাশ করতে পারছেনা। ‘আমার মন ভালো নেই’ এই কথা বললেও তার বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা হতে পারে। স্বাধীন দেশের নাগরিকরা এখন নিজ দেশেই যেন পরাধীন।’
আরও পড়ুন: রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে, মির্জা আব্বাসের হুঁশিয়ারি
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘এই সরকার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে দিয়েছে। আজকে সারা দেশে দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। সরকার সব খেয়ে ফেলেছে, আছে শুধু খোসা। শেয়ারবাজার, ব্যাংক , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ ধ্বংস করছে। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সচিবালয় সব জায়গায় দলীয়করণ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনরত বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবেলা করবো।’
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ইসরাফিল খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে গেছে। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে তারাই এই দেশকে ধ্বংস করেছে। দেশের জনগণ আর এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে এই সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের চলমান আন্দোলন সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অতীতের ন্যায় আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, ‘আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবো এবং এই দেশের মানুষকে সত্যিকার অর্থেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। জনগণের রাষ্ট্র আমরা তৈরি করবো এবং সেই রাষ্ট্র হবে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্র হবে মুক্ত রাষ্ট্র। সেই লক্ষ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনসমর্থন নাই। রাজনৈতিকভাবে তারা সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জামানত হারাবে। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমরা তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিবোনা।
ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকতার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি সেকান্দর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ হোসেন, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম দিপু, এড. সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, মঈনুদ্দিন রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, এম. আবু বক্কর রাজু, সহ- সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম দুলাল, মনির হোসেন, জাকির হোসেন,ইমরান চৌধুরি বাবলু, মোকলেছুর রহমান, রাসেল খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন রুবেল,রবিউল ইসলাম,মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো.বাকের হোসেন, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এস এ রানা, সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মো. পারভেজ, সদস্য জাবেদ হোসাইন, হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনোয়ারুল কাফি মুন্না , আকবর শাহ থানা আহবায়ক হাসান মাহমুদ, বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, আকবর শাহ থানা সদস্য সচিব তৌসিফ আহমেদ, চকবাজার থানা সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, হালিশহর থানা সদস্য সচিব মো. মুরাদ, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সজল বড়–য়া, মুজিবুর রহমান বাবু, মো. সাদ্দাম, মো. রুবেল, মো. রকি, ফজলুর রহমান মুন্না,আবু সালেহ আবিদ, ইসহাক জয়, সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, মো. কালাম, মো. জনি, সাদ্দাম হোসেন, জয়নাল আবেদীন টিটু, মেহেদী সহ প্রমুখ।