নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ এপ্রিল, ২০২২ ৭:০৯ : অপরাহ্ণ
নিউমার্কেট এলাকায় আবারো উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দোকানপাট খোলা যাবে না হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনা নিয়ে আজ রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা কলেজের সামনে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
এ ঘটনার পর মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিক্ষক ও পুলিশের অনুরোধে নিউমার্কেট সংলগ্ন রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তারা এখন ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করছেন।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে মিরপুর রোডে আবার যান চলাচল শুরু হয়।
তবে মার্কেটের দোকানপাট এখনো বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, আজ বিকেলে নিউমার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে-এমন খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা কলেজের ফটকের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা নিউমার্কেট খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না করে নিউমার্কেটের কোনো দোকান খোলা যাবে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি কলেজের মধ্যে ঢাকা, ইডেন ও কবি নজরুল ছাড়াও রয়েছে বদরুন্নেসা কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।
নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত গত ১৮ এপ্রিল রাতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে। পরদিন মঙ্গলবার থেমে থেমে দিনভর সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নাহিদ হোসেন নামে এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার বাসা থেকে বের হয়ে ওই এলাকায় এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়ে আহত হন। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা যান তিনি। এ ছাড়া আরও একজন আইসিইউতে রয়েছেন।