শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

গুয়ান্তামো বের মতো কারাগার বাংলাদেশে নেই: তথ্যমন্ত্রী


তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৪৪ : অপরাহ্ণ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের সঙ্গে আমরা একমত নই বরং অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো।’

আজ বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখের সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় পাম ভিউ রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম আয়োজিত ‘মাহে রমজান ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতারের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিক্রিয়া জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রিপোর্টে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নই। আমরা মনে করি, এ রিপোর্টের তথ্য-উপাত্ত নির্দিষ্ট কিছু সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়। সেই সূত্রগুলো একপেশে ও অনেক ভুল তথ্য সরবরাহ করায় রিপোর্টটি এমন হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো, সবক্ষেত্রে না হলেও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তামো বে’তে যেভাবে মানুষকে নির্যাতন করা হয়, সে ধরনের কোনো কারাগার আমাদের দেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদের দেশে কখনো এ ধরনের হত্যা হয়নি। মার্কিন পার্লামেন্টে যেভাবে হামলা করে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে, স্পিকারের চেয়ারে দুষ্কৃতকারী বসে ছিল, এমন কোনো ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেনি।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত দশ বছরের পরিসংখ্যান মতে যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যালঘুরা ৩০ শতাংশ হলেও পুলিশের গুলিতে নিহতদের অধিকাংশই এই সংখ্যালঘুরা। এসব কারণে অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো।’

মার্কিন এ প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিচার বিভাগ অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করে। সে কারণেই সরকারের বিরুদ্ধে রায় হয় ও সরকারি দলের এমপিরা জেলে যায়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। মানবাধিকার রিপোর্টে যে নিরাপত্তা বাহিনীর কথা আছে, সেই নিরাপত্তা বাহিনীও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা পাচ্ছে। এ কারিগরি সহায়তাসহ অন্যান্য বিষয়ে সহায়তার মাধ্যমে আমাদের যদি কোনো ত্রুটিও থেকে থাকে তা ভবিষ্যতে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি।’

বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এবং বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর