নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১০:১৯ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি মামলা চলবে। তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে নিম্ন আদালতে।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে জোবায়দার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তারেক রহমানকে ওয়ান ইলেভেনে সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দিয়েছিলো দুদক। সেখানেই স্ত্রী জোবায়দার করা একটি ৩৫ লাখ টাকার এফডিআরের হিসেব মেলেনি। আর তাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
এ ঘটনায় জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয় দুদক। কিন্তু উচ্চ আদালতের এক আদেশে থমকে যায় সেই প্রক্রিয়া।
২০১৭ সালে হাইকোর্ট মামলাটি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জোবায়দাকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন কিন্তু সেই রায়কে আর বাস্তবায়ন করেনি জিয়া পরিবারের এই সদস্য।
আজ আপিল বিভাগ জোবায়দা রহমানের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
গত বছরের ১ এপ্রিল জোবাইদা রহমানের লিভ-টু-আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ওই বছরের ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে যায়। এর প্রায় এক বছর পর গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হলে আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা।