রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ এপ্রিল, ২০২২ ৪:৫১ : অপরাহ্ণ
সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ থেকে নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সব এমপিসহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আজ সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভবনে দলের এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আজকের অধিবেশন বয়কটের ঘোষণাও দিয়েছে পিটিআই।
আজ জাতীয় পরিষদে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হবে। তার আগেই জাতীয় পরিষদ ভবনে উপস্থিত হন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপর দলের সব এমপির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে দলীয় এমপিদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা কোনো পরিস্থিতিতেই আর জাতীয় পরিষদে অধিবেশনে বসব না। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যারা নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে চাপে রাখতে হবে। আর এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আমরা সবাই পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করবো।’
বৈঠকে অবশ্য বেশিরভাগ এমপিই প্রথম দিকে ইমরানের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তারা যুক্তি দেন-যদি পিটিআইয়ের এমপিরা পদত্যাগ করে, সেক্ষেত্রে মাঠ ফাঁকা হয়ে যাবে এবং বিরোধীদের জন্য আরও সুবিধা হবে।
এই পর্যায়ে ইমরান বলেন, ‘আমি হবো পদত্যাগ করা প্রথম এমপি এবং অন্য কেউ যদি পদত্যাগ করতে না চায়, তবুও আমি পদত্যাগ করবো।’
ইমরানের এই বক্তব্যের পর এমপিরা তার নির্দেশ মেনে নেন এবং বলেন যে, এ ব্যাপারে দলনেতার নির্দেশ অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেবেন তারা।
ইমরান খানের এই ঘোষণার পরপরই ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির সভাপতিত্বে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়েছে।
নানা নাটকীয়তার পর গত শনিবার রাতে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এ অনাস্থা ভোটের পেছনে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা তার এ দাবিকে ‘অতিরঞ্জিত’ মনে করছেন।
সেনা হস্তক্ষেপের দীর্ঘ ইতিহাস থাকা পাকিস্তানে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তবে ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে বিদায় নিয়েছেন।