নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১০ এপ্রিল, ২০২২ ১১:১৫ : অপরাহ্ণ
কারো নাম না নিয়ে দলের ভেতরে কিছু নেতাদের ‘প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের খলনায়ক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি তাদের উদ্দেশ করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘যারা নেতৃত্বের জন্য লালায়িত হয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাচ্ছেন তারা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের খলনায়ক হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য হবেন।’
আজ রোববার বিকেলে নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য, পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজি মো. এয়াকুবের প্রথম স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নগর আওয়ামী লীগ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘দলের কঠিন সময়গুলোতে যারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে রাজপথে থাকবেন তারাই প্রকৃত কাণ্ডারী। অথচ এদের আমরা খুব একটা বেশি অন্তরে ধারণ করি না, এমনকি মর্যাদাও প্রদান করি না।’
তিনি বলেন, ‘আজ লক্ষ্যণীয় যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মঘাতী আচরণে উন্মত্ত। আমরা বুঝি না এই আত্মঘাতী আচরণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ফায়দা লুটছে।’
আ জ ম নাছির বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা একজন আরেকজনের যুক্তিহীন চরিত্র হনন করছি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনস্বার্থে যে কাজগুলো করে যাচ্ছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফোকাস করি না। এতে মনে হয় আমরা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বোকার স্বর্গে বাস করছি। আমরা ড্রয়িং রুমে বসে দলের জন্য নেতিবাচক আচরণগুলো করে পত্র পত্রিকায় নিজেদের জাহির করি।’
স্মরণ সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা দল ও দেশের সম্পদ। তারা মাটি ও মানুষের ভাষা বোঝেন এবং মৃত্যুর পরও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকেন। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা দলে যথাযথ মূল্যায়িত হচ্ছেন না। এটা আমাদের জন্য দুভ্যাগ্যজনক। হাজি মো. এয়াকুবের মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা যাকে আমরা হারিয়েছি তাঁর কখনো বিকল্প হতে পারে না। তিনি দলের স্বার্থে নিজের সব স্বার্থকে বিসর্জন দিয়েছেন।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর সিদ্দিকী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের ও উপ প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম প্রমুখ।