রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ এপ্রিল, ২০২২ ১০:০৭ : অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোলা অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করা ও প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আদেশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত বলেন, প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেয়ার অধিকার নেই প্রধানমন্ত্রীর। এখন পর্যন্ত যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করতে জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
এর আগে শুনানিতে বেঞ্চের বিচারপতি জামাল খান মান্দোখেল জানতে চান, পার্লামেন্টে কোনো অসাংবিধানিক ঘটনা ঘটলে তার সমাধান আছে কি না।
উত্তরে আইনজীবী জাফর বলেন, পার্লামেন্টকেই বিষয়টির সমাধান করতে হবে। আর সমাধান হলো জনগণের কাছে যাওয়া।
শুনানি চলাকালে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিচারপতি মান্দোখেল জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার বাতিল করে দিলেও ওই রায়ে তার স্বাক্ষর নেই, আছে স্পিকারের স্বাক্ষর।
রায়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সমাপ্তি ছাড়া অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না। যদি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয়, তাহলে বিধানসভা নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবে।
দেশটির প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতিরা একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করার পর ৫-০ ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে রায় ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল এর আগে বলেছিলেন যে, জাতীয় স্বার্থ এবং বাস্তব সম্ভাবনা দেখেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
এখন কী হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে, সেদিকেই সবার দৃষ্টি। খবর দ্য ডনের।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির দেওয়া আদেশ ভুল ছিল-এটি পরিস্কার। এর মাধ্যমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ লঙ্ঘিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের বিষয় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) রুলের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। ফলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
তার আগে ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের এখতিয়ার আদৌ আছে কি-না সেটি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করলেন।