রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০২২ ২:৪৫ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার পর আগামী তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে আজ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এই প্রস্তাবকে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলে সরাসরি তা খারিজ করে দেন পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। এখন নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। জনগণই ঠিক করবে, তারা কার হাতে দেশের দায়িত্বভার দিতে চায়।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক দেশ। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক, তারা কাকে বেছে নিতে চান। বিদেশি ষড়যন্ত্রকে কিছুতেই সফল হতে দেব না আমরা।’
গত ৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধীদলগুলো। ওই প্রস্তাবের ওপর পরের ৯ মার্চ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় পরিষদের এক জন সদস্যের মৃত্যুর কারণে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবির ঘোষণা দেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
এরপর ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি। তবে পূর্ব নির্ধারিত ৩১ মার্চ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তা ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ইমরান খান বারবার বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলব। আমি অনাস্থা ভোটের একদিন আগে তাদের চমকে দেব।’
৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ইমরান খানকে ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তার দল পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ১৫৫। তবে দলের কয়েকজন সদস্য এবং জোট শরীকরা ইমরানের পক্ষ ত্যাগ করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হয় তাকে।