রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০২২ ১:৪৭ : অপরাহ্ণ
সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর আপাতত বেঁচে গেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পাকিস্তানের সংসদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।
আজ রোববার ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে সংসদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরির সভাপতিত্বে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি অধিবেশনের শুরুতে আকস্মিকভাবে স্পিকার আসাদ কাইসারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
এদিকে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও জমায়েত বন্ধ করতে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধীদলগুলো। ওই প্রস্তাবের ওপর পরের ৯ মার্চ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু জাতীয় পরিষদের এক জন সদস্যের মৃত্যুর কারণে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবির ঘোষণা দেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
এরপর ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি।
পূর্ব নির্ধারিত ৩১ মার্চ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তা ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ইমরান খান বারবার বলেছেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমি পদত্যাগ করবো না। আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলব। আমি অনাস্থা ভোটের একদিন আগে তাদের চমকে দেব।’
৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ইমরান খানকে ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তার দল পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ১৫৫।
তবে দলের কয়েকজন সদস্য এবং জোট শরীকরা ইমরানের পক্ষ ত্যাগ করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হয় তাকে।
আজকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ইমরানে বিরুদ্ধে ১৭৬ জন সদস্য ভোট দেওয়ার প্রস্তাতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম ডন।