প্রতিনিধি, কক্সবাজার প্রকাশের সময় :৩১ মার্চ, ২০২২ ১১:৩৫ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে বলেছেন, ‘তোঁয়ারাল্লাই আত্তু পেট পুরের।’
ভাঙ্গা ভাঙ্গা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা প্রধানমন্ত্রীর এ কথার অর্থ হচ্ছে, ‘তোমাদের জন্য আমার মন কাঁদছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালুচরে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার : বদলে যাও কক্সবাজার’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানের কক্সবাজার প্রান্তে বক্তৃতা দিতে উঠে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দলের ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা প্রধানমন্ত্রীকে কক্সবাজারে এসে স্বচক্ষে এখানকার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দেখার আমন্ত্রণ জানান।
তার কথার জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন অনুষ্ঠানে সমবেত শত শত দর্শনার্থী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কক্সবাজারবাসী এবং সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে প্রয়োজনে আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করবো। আমরা সব বাধা অতিক্রম করে দেশবাসীর জন্য একটি সুন্দর ও উন্নত জীবনের ব্যবস্থা করে যাবো।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার প্রচুর ইচ্ছা ছিল আমাদের। তাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময় জেলে থাকতেন। তাই জেল থেকে ছাড়া পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। আমরা বাবার কাছে বায়না ধরতাম।’
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ পর্যটন এলাকা, স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ, রেললাইন থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন চলছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার আমরা রক্ষা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। আজ বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। তাই সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় উন্নয়নের ওপর বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।