নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৪ মার্চ, ২০২২ ১:১৭ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদের গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশে যেহেতু জায়গা অল্প, জনসংখ্যা বেশি, তাই গ্রামগুলো শহরে উন্নীত করা হবে।’
বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়।
আমরা যে বিজয়ী জাতি সেই কথাটাই ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে অবদান ছিল স্বাধীনতায়, সেই ইতিহাসটাও মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, কোনো জায়গায় তার নাম থাকবে না, কোথাও ছবি থাকতে পারবে না, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সব আদর্শ একে একে ধ্বংস করে দেয়া হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি জাতি বা প্রজন্মের সামনে যদি আমাদের বিজয়ের ইতিহাস তুলে ধরা না হয়, সে জাতি সামনে এগিয়ে যাবে কীভাবে? তাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস আসবে কী করে? তারা ভবিষ্যতে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখবে কীভাবে? আমরা যে বিজয়ী জাতি সেই কথাটাই ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। এটাই ছিল ২১ বছরের অন্ধকার যুগ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ শুরু করি। আমাদের আশা ছিল, এমন দিন বাংলাদেশে আসবে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। সেটা আমরা করতে সক্ষম হবো।’
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যদি আমাদের এই দেশটি উপহার না দিতেন আর স্বাধীন জাতি হিসেবে মেধা বিকাশের কোনো সুযোগই আমরা কখনো পেতাম না। সব সময় একটা পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আমাদের থাকতে হতো। আমরা সব সময় শোষিত-বঞ্চিত থাকতাম। জাতির পিতা আমাদের স্বতন্ত্র জাতিস্বত্তা অর্জন করে দিয়েছেন, একটি জাতিরাষ্ট্র দিয়েছেন। যে কারণে আজ আমরা সেই মেধা অন্বেষণের সুযোগ পাচ্ছি এবং পুরস্কৃত করে আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারছি।’