নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ মার্চ, ২০২২ ৬:১২ : অপরাহ্ণ
র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশটির সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা। আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা সংলাপের পর ঢাকা ও ওয়াশিংটনের যৌথ ব্রিফিংয়ে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উঠে আসে।
বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড বলেন, র্যাবের ওপর শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘও র্যাবের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তবে বাংলাদেশ র্যাব বিষয়ে গত তিনমাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এটা জটিল বিষয় তবুও তারা দেখবে। আগামী ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং সন্ত্রাসবাদ ও আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি। আমরা শুধু ব্যাখ্যাই করিনি, আমরা এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ-এটা প্রকাশ করেছি। আশা করছি, সামনে সুফল আসবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড বলেন. র্যাবের ওপর শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘও র্যাবের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তবে বাংলাদেশ র্যাব বিষয়ে গত তিনমাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এটা জটিল বিষয় তবুও তারা দেখবে। আগামী ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইন-বহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। তবে আমরা গত ৩ মাসে র্যাবের কার্যক্রমে উন্নতি দেখতে পেয়েছি। পররাষ্ট্র সচিব আমাদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সরকার এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দায়বদ্ধতা ও বিচার নিয়ে সরকার কাজ করছে। আজ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে আমাদের একটি ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখব, কারণ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ দমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।