নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৯ মার্চ, ২০২২ ১০:১৫ : অপরাহ্ণ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন শেষ হওয়ার তিনদিন পরও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়নি।
ফল ঘোষণা না করেই পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র আইনজীবী এ.ওয়াই মশিউজ্জামান।
সাধারণ সম্পাদক পদে একজন প্রার্থীর ভোট পুনর্গণনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত হয়ে যায়।
আইনজীবীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়। গণনা শেষে দেখা যায়, সভাপতিসহ ৬টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল বিজয়ের পথে। সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিলে সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। তারা সম্পাদক পদে ভোট কারচুপি ও বাতিল হওয়া ভোট কাজলের পক্ষে গণনা করার অভিযোগে আনেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র আইনজীবী এ.ওয়াই মশিউজ্জামান অভিযোগ নাকচ করে ফলাফল ঘোষণা করতে অনড় থাকলে মিছিল, শ্লোগান, হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ব্যাপক হৈ চৈ শুরু করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল লিখিতভাবে ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করেন।
আবেদন গ্রহণ না করলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান এ. ওয়াই মশিউজ্জামানকে পদত্যাগ করতে বলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ৫ হাজার ৯৮২ জন আইনজীবী ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৩৩ জন।
সমিতির গত (২০২১-২২) নির্বাচনে সভাপতি পদসহ আটটি পদে আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেল জয় লাভ করে।
অন্যদিকে সম্পাদক পদসহ ছয়টি পদে জয় লাভ করে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল। তবে টানা ৯ বছর ধরে সম্পাদক পদটি ধরে রেখেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।