বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

নাপা সিরাপে নয়, বিষ মেশানো মিষ্টি খাইয়ে হত্যা করা হয় সেই দুই শিশুকে


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুকে বিষ মেশানো মিষ্টি খাইয়ে হত্যার অভিযোগে তাদের মা লিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ ২০২২, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আলোচিত দুই শিশুর মৃত্যু নাপা সিরাপ খেয়ে নয়, পরকীয়ার জেরে বিষ মেশানো মিষ্টি খাইয়ে তাদের মা লিমা বেগম সন্তানদের হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।

এ ঘটনায় শিশুর মা লিমা বেগমকে (৪০) আজ বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে এ ঘটনায় নিহত দুই শিশুর বাবা ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে লিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বিষ খাইয়ে তার দুই শিশুকে হত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চালকলে কাজ করেন। আর তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চালকলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সঙ্গে লিমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন।

মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে খাইয়ে হত্যা করেন মা লিমা বেগম। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু লিমার আচরণে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসার পর তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় লিমার প্রেমিক সফিউল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াছিন ও মোরসালিন নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।

নিহত দুই শিশুর মা ও স্বজনরা সে সময় অভিযোগ করেন, তারা গরিব ও দরিদ্র। তাই সিরাপ খেয়ে অসুস্থ হওয়া দুই শিশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা হয়নি। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে এবং হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা পেলে শিশু দুটি মারা যেত না বলে দাবি করেন তারা।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর