নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৬ মার্চ, ২০২২ ৪:৩৭ : অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার।
আজ বুধবার বিকেলে আইন মন্ত্রণালয় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো।
সর্বশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। সেই মেয়াদ ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর গত ১ মার্চ খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়।
ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে খালেদার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এ-সংক্রান্ত আবেদন করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় সেই আবেদনে আজ মতামত দিয়ে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উনারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) আরেকটা দরখাস্ত করেছেন, এক্সটেনশনের (মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর) জন্য। সেই দরখাস্তটা আমার কাছে আসছে। আমরা পাঠিয়ে দেবো মতামত। সেই মতামত জানবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।
এর পরের পদক্ষেপ কী হবে, স্বরাষ্ট্র হয়ে কী তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে-জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, না। আমার মনে হয় না এটা আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। কারণ গতবার যেটা দিয়েছিলাম, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলের রায়ে দ্বিগুণ হয়। এরপর তার ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার কারাদণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান।
সর্বশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ে। সেই মেয়াদ ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।
দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। এগুলো হলো-বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে ও তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি চারবার এভারকেয়ারে যান এবং তিনবার সেখানে ভর্তি হন।
তবে স্বজনের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার খালেদাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।