নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৪ মার্চ, ২০২২ ১২:৪১ : অপরাহ্ণ
ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ আজ সোমবার দেশে পৌঁছেছে।
রোমানিয়ার বুখারেস্ট থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে হাদিসুরের মরদেহ বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি।
নিহত হওয়ার ১২ দিন পর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাল। এর আগে তুর্কি সময় রাত আড়াইটায় এই ফ্লাইটটি হাদিসের মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বিমানবন্দরে হাদিসুর রহমানের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স।
ভাইয়ের কফিন ছুঁয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিন্স। তার আহাজারিতে বিমানবন্দরের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
এরপর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বরগুনার বেতাগীর হাসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে রওনা হন পরিবারের সদস্যরা।
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা অবস্থায় গত ২ মার্চ রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এতে নিহত হন ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
ওই জাহাজে থাকা হাদিসুরের সহকর্মীরা অনেক পথ পেরিয়ে গত বুধবার ঢাকায় আসেন। জাহাজ থেকে নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের বাংকার পর্যন্ত মরদেহ নিয়ে এসেছিলেন তারা।
তবে যুদ্ধের ময়দান থেকে আর তা তাদের সঙ্গে আনতে পারেননি। হাদিসুরের মরদেহ রাখা হয়েছিল বাংকারের ফ্রিজারে।
শুক্রবার ভোরে ইউক্রেন থেকে রওনা হয়ে হাদিসুরের লাশবাহী গাড়ি রাতে প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছায়।
সেখান থেকে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি কার্গো ফ্লাইটে শনিবার রাতে মরদেহ পাঠানো হয় দেশের উদ্দেশ্যে।
রোববারই মরদহে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিরূপ আবহাওয়ায় ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় রোববার হাদিসুরের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়নি।